শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ফিফার স্বীকৃতি পাচ্ছে আরবি ভাষা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

১৯ ডিসেম্বর ছিল জাতিসংঘের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। ফুটবল বিশ্বের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ আরেকটি তথ্য হলো, ঐ দিনই শেষ হয় ফিফার আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রথম আরব কাপ। এমন দিনে আরবি ভাষাভাষী দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী এক খবর আসছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার দিক থেকে। আরবিকে ফিফার আনুষ্ঠানিক ভাষাগুলোর একটি হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব করবেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, এমনটাই জানাচ্ছে ফিফার ওয়েবসাইট।

আরবি ভাষা দিবস আর আরব কাপের সমাপ্তির কারণেই এদিন ঘোষণাটা এসেছে। ফিফা জানাচ্ছে, আরব ভাষাভাষী ২০টি দেশের ৪৫ কোটি মানুষের ভাষা তো বটেই, আরবি ভাষা বিশ্বজুড়ে আরও অনেক মানুষেরও প্রিয়। সে দিক বিবেচনায় রেখেই আরবিকে ফিফার আনুষ্ঠানিক ভাষাগুলোর একটি করে নেওয়ার ইচ্ছা ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোর।

এখন পর্যন্ত ফিফার আনুষ্ঠানিক ভাষা চারটি। ইংরেজি তো বটেই, এর পাশাপাশি ফরাসি, স্প্যানিশ ও জার্মান ভাষাকেও নিজেদের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এবার পঞ্চম ভাষা হিসেবে আরবিকেও আপন করে নিচ্ছে ফিফা! আরবিকে দাপ্তরিক ভাষাগুলোর একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে ফিফার সা¤প্রতিক সমন্বিত কার্যক্রমের আরেকটি ধাপ। আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে স¤প্রতি অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।

আগামী বছরে ফিফার বিশ্বকাপ হবে কাতারে। সেই কাতারেই এবার নিজেদের আয়োজনে প্রথমবার আরব কাপ আয়োজন করে ফিফা। ১৯৬৩ সালে প্রথম শুরু হলেও আরব কাপ কখনোই নিয়মিত ছিল না। এবারের আগপর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫৮ বছরে টুর্নামেন্টটা আয়োজিত হয়েছেই মাত্র ১১ বার। এই শতকে হয়েছে তিনবার, সর্বশেষ ২০১২ সালে। তবে এর আগের ১১ বার আরব দেশগুলোর ফুটবল সংগঠনগুলোর মিলিত প্রতিষ্ঠান উয়াফা (ইউনিয়ন অব আরব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনস) আরব কাপ আয়োজন করে এসেছিল, এবারই প্রথম ফিফার আয়োজনে হয়েছে আরব কাপ। সে কারণে টুর্নামেন্টের নাম হয়েছে ফিফা আরব কাপ। মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বের ২৩টি দেশের জাতীয় দল নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এবারের আরব কাপ।

২৩ দলের মধ্যে গত এপ্রিল মাসের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা প্রথম ৮ দল ও স্বাগতিক কাতার সরাসরি খেলেছে গ্রুপ পর্বে। কাতারও অবশ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৯ দলের মধ্যেই ছিল। গ্রুপ পর্বে সরাসরি সুযোগ পাওয়া ৯ দল ছিল স্বাগতিক কাতার, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, মিসর, সউদী আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিরিয়া। এর বাইরে আরব দেশ ছিল ১৪টি- ওমান, লেবানন, জর্ডান, বাহরাইন, মৌরিতানিয়া, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, সুদান, কমোরোস, ইয়েমেন, কুয়েত, দক্ষিণ সুদান, জিবুতি ও সোমালিয়া। এই ১৪ দলের মধ্যে বাছাইপর্ব হয়ে ৭টি দল (ওমান, লেবানন, জর্ডান, বাহরাইন, মৌরিতানিয়া, ফিলিস্তিন ও সুদান) এসেছে গ্রুপ পর্বে।

১৬ দলকে চার গ্রুপে ভাগ করে হয় গ্রুপ পর্ব। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল, আর গত ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসে হয়েছে ফাইনাল। কাতারের আল-বায়েত স্টেডিয়ামের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আলজেরিয়া। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য ছিল। অন্যদিকে মিসর আর কাতারের মধ্যে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচও নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র ছিল। টাইব্রেকারে মিসরকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে কাতার।

এই টুর্নামেন্টে অবশ্য মো সালাহ, রিয়াদ মাহরেজসহ আরব ভাষাভাষী দেশগুলোর জনপ্রিয় অনেক তারকা খেলেননি। ম‚লত ২৩টি দল মিলিয়ে আরব দেশগুলোর লিগের বাইরের খেলোয়াড় ছিলেন শুধু ১৫ জন। এর মধ্যে চারজন খেলেন সুইডেনের লিগে, দুজন ইংল্যান্ডে। আর ডেনমার্ক, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের লিগের খেলোয়াড় ছিলেন একজন করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন