বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সোমবার সকাল ১১টায় এনএসসির শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এনএসসি’র সচিব পরিমল সিংহ।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে এর আগে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময় সংবর্ধনা দিলেও এনএসসি কখনো দেয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। তাই তো এই অনুষ্ঠানকে অন্যগুলোর চেয়ে উপরে রাখলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, ‘মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারের সংস্থা। সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এভাবে কখনো আমরা স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাইনি।’ পিন্টু নিজেও এক সময় এনএসসি’র কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সময় স্বাধীন বাংলা দলের সংবর্ধনার এমন আয়োজন কেন হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমি একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কোনো এক কারণে বিলম্ব হওয়ায় আর অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল। তিনি এনএসসি’র এই স্বীকৃতিকে প্রথম সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘অনেক স্বীকৃতি-সংবর্ধনা পেলেও আজকের এই সংবর্ধনা সরকারের প্রথম স্বীকৃতি বলা যায়।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলই মূলত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিগত সময়ে অনেক মন্ত্রী আসলেও এমন উদ্যোগ নেউ নেননি।
এই উদ্যোগ গ্রহণের কারণ সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে ক্রীড়াঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর জন্যই মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে এই প্রয়াস।’ সংর্বধনা অনুষ্ঠানে এনএসসি’র পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের ক্রেস্ট ও ব্লেজার উপহার দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন