জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর থেকে : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কৃষি ফসলে ক্ষতিকর পোকা জরিপ ও নিধনের জন্য আলোক ফাঁদের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সব শ্রেণির কৃষকের কাছে। ফলে ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যয় এবং বিষমুক্ত ফসলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি উভয়ই কমছে।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা বেগম গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, মির্জাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নিরঞ্জন পাল, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুনীল কুমার সরকার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সালেহ আহমেদ, নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত এবং নিধনের লক্ষ্যে আলোক ফাঁদ ব্যবহার শুরু হয়। উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা, বেলতৈল, মজিদপুর, বাঁশতৈল ইউনিয়নের পেকুয়া, নয়াপাড়া ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা বেগম গ্রামে প্রচারণার জন্য প্রথমে কৃষি অফিস কর্তৃক আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। পরে তা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাঠে কৃষকরা নিজেরাই আলোক ফাঁদ স্থাপন শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ফসলি জমির ধারে দুই থেকে তিন ফিট উপরে একটি ডিটারজেন্ট পাউডার মেশানো পানির গামলার উপরে একটি বাল্ব জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আলো দেখে পোকারা উড়ে এসে ওই পানিতে পড়ে মারা যায়। ফলে ক্ষতিকর পোকার সংখ্যা কমতে থাকে। আর ওই ফসলের জমিতে চরম ক্ষতিকর মাজরা, বিপিএইচ ও পাতা মোড়ানো পোকাসহ অন্য কোনো পোকা আছে কিনা তা জরিপ করা হয়। যদি ক্ষতিকর পোকা থাকে তা দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তেলিনা গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুল করিম, দুল্যা বেগম গ্রামের সোনা মিয়া, কহিনুর মিয়া বলেন, আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা নিধন পদ্ধতিটা খুবই ফলপ্রসূ।
শুধু ফসল নয় বাড়িতেও বিরক্তিকর পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার উপকারে আসে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, আলোক ফাঁদ ফসলের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে খুব ভালো একটি পদ্ধতি। তাই কৃষকদের আলোক ফাঁদ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন