৪০টি ইভেন্ট নিয়ে আগামীকাল থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে শেখ কামাল জাতীয় সিনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। তিন দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ অ্যাথলেট, কোচ ও কর্মকর্তা। ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে দীর্ঘ দুই যুগের স্বর্ণখরা কাটাতে এবারের মিটে নতুন চারটি ইভেন্ট যোগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- ৫ ও ১০ হাজার মিটার দৌঁড়, ৪০০ মিটার হার্ডলস এবং ট্রিপল জাম্প। এমন আয়োজনে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন কোনো পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। নিজেদের তহবিল থেকেই এই আয়োজন করে তাই পুরনো খেদ ফের ঝারলেন ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম। গতকাল সিনিয়র অ্যাথলেটিকস মিটের সংবাদ সম্মেলনে এসে অবকাটামোগত সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প না হওয়া এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়াকেই দুষলেন তিনি, ‘সোনাজয়ী অ্যাথলেট না পাওয়ার পেছনে আমাদের ব্যর্থতাতো রয়েছেই। সেই সঙ্গে টার্ফ ভাগাভাগি করা, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প না থাকাও দায়ী।’
এমনিতেই আর্থিক সংকট তার উপর আবার ভারত থেকে ফটো ফিনিশিং এনেছে ফেডারেশন। ফটো ফিনিশিং পরিচালনার মতো দক্ষ দুই জন লোকও আনা হয়েছে ভারত থেকে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা আয়োজনকে সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষতার স্বার্থে ফটো ফিনিশিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।’ ২০১৭ সালের পর আবার ফটো ফিনিশিংয়ে হবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স। মন্টু যোগ করেন, ‘আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভেন্যু পাই না। আমরা ভেন্যু ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে সাফ গেমসে দুইটি স্বর্ণপদক উপহার দেব।’ জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশ নেয়ার জন্য দেশে এসেছেন লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান। সেনাবাহিনীর হয়ে খেলবেন তিনি। ইমরানকে নিয়ে প্রত্যাশা করে মন্টু বলেন, ‘তার টাইমিং বেশ ভালো। এই টাইমিং বজায় রাখতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদক জেতা সম্ভব হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন