নতুন বছরের শুরুতেই দেশের তৃণমূল ফুটবলের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে- মেধাবী ও নতুন ফুটবলার তৈরির কার্যক্রম সীমিত করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অনুদান কমে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বাফুফে। যদিও মাদারীপুর, নীলফামারী ও ফেনী এই তিন জেলায় বাফুফের গ্রাসরুট কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু এএফসির অনুদান কমে যাওয়ায় সেই কার্যক্রম এখন স্থগিত হওয়ার পথে। বাফুফের ভাষ্য, তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে কাজ করতে এফএফসি তাদেরকে যে অনুদান দেয় তা চলতি বছর কমে যাচ্ছে বিধায় তৃণমূলের আঞ্চলিক কোচদের রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। তারা বাদ পড়ছেন। আঞ্চলিক কোচরা বাদ পড়ায় এই তিন জেলার গ্রাসরুট কার্যক্রমও স্থগিত হচ্ছে। তাই বলে চলে বর্তমানে হুমকির মুখেই পড়েছে দেশের তৃণমূল ফুটবল।
বাফুফের আঞ্চলিক কোচ হিসেবে ফেনীতে কাজ করছেন দীপক। তিনি গতকাল বলেন, ‘বাফুফে আমার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানায়নি। আমি এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। চুক্তি নবায়ন না হলেও পেশাদারিত্বের খাতিরে কোচিং চালিয়ে যাব।’
আঞ্চলিক কোচ ও কোচিং এডুকেশন বিভাগের সদস্য পলো ও পারভেজ বাবুকে ইতোমধ্যে বাদ দিয়েছে বাফুফে। এ দুইজনকে ছাড়া ইতোমধ্যে ২০২১ সালের কোচদের তালিকা এএফসিতে পাঠিয়েছে তারা। দীপক ব্যক্তিগতভাবে কোচিং করালেও বাফুফের সহায়তা থাকবে না সেই কার্যক্রমে। বাফুফে তাদের গ্রাসরুট জোনগুলোতে জার্সি, বল ও নানা সরঞ্জাম পাঠাতো। তৃণমূলের কার্যক্রম সীমিত হলে সেই সহায়তাও ভাটা পড়বে। বাফুফে তাদের কোচ সংখ্যা কমিয়ে আনায় শুধু মাদারীপুর, নীলফামারী ও ফেনীই নয় অন্যান্য জেলাগুলোতেও আঞ্চলিক প্রশিক্ষণে বড় ধাক্কা লাগছে।
বাংলাদেশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার পরিকল্পনা ছিল দেশের আটটি জোনে গ্রাসরুট করা। নানাবিধ সংকট ও সীমাবদ্ধতায় ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেনী, মাদারীপুর ও নীলফামারী এই তিন জেলায় গ্রাসরুট কাজ শুরু হয়। জেলাগুলোকে বেছে নেয়ার কারণ ছিল অ্যাস্ট্রোটার্ফ। এই তিন জেলায় সপ্তাহে তিন দিন করে বিভিন্ন বয়সী ক্ষুদে ফুটবলাররা অনুশীলন করতেন। জেলাগুলোতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নিয়মিত অনুশীলন করতো। তিন জেলার এই অনুশীলন কার্যক্রমের সুফলও কিছুটা মিলেছিল। ওই জেলাগুলোতে অনুশীলন করা ফুটবলারদের প্রায় সবাই বাফুফে একাডেমি ও বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন