বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

চরফ্যাশনে ভিক্ষুকদের ভাগ্যে ১০টাকা চালের কার্ড জুটেনি

প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন থেকে : চরফ্যাশন পৌর শহরে ভিক্ষা বৃত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি স্পটে গিয়ে ২০জন ভিক্ষুকের মধ্যে জরিপ চালিয়ে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে। তাদের ভাগ্যে জুটেনি সরকারের দেওয়া হতদরিদ্রদের জন্যে নির্ধারিত ১০টাকা দামের চাল।
সরেজমিন পরিদর্শন করে একাধিক ভিক্ষুক জানান, আমরা শুধু ভিক্ষা করে যাচ্ছি। আমাদের জন্যে সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা, পঙ্গু এমনকি সরকারের ১০টাকা মূল্যের চালের তালিকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারগন দেয়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিধবা ভিক্ষুক তার ভাষা জানান,আই আংঙ্গ লেম্বারকে বিধবার নাম দিতে কইলে লেম্বার আর কাছে ৩হাজার টিয়া চায়। আই ৩হাজার টিয়া ও দিতে হারিনা আর নামও অয়না।
চরফ্যাশন পৌর শহরে ভিক্ষা করতে আসা আছুরা বলেন, আর বাড়ী আসলমাপুর ৪নং ওয়ার্ডে। আর স্বামী হঙ্গু সামছল হক। আর স্বামী লুজ হয়ে গেছে। হের পরেও আই ১০টাকা ধরের চাইল খাইতাম পাইনা। লেম্বরেরা আর কাগজ হত্র কিছুই নেয়না। ভালা ভালা মাইনসেতে হুনসী ১০টিয়া সরকার চাইল বেইচবো। আই খুশি হয়ছি ১মন চাইল কিনুম। এহন আর নাম নেয়না।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আ. হাই জানান, ভিক্ষুকেরা ভিক্ষা করাই তাদের অভ্যাস। তাদেরকে দিলেও তারা বলে পাইনা, খাইনা। আমার ওয়ার্ডের তো অনেক লোক সেই ভিক্ষুক পায়নি এটা আমার জানা নেই। তাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেও।
ভিক্ষা করার সময় এ প্রতিনিধি জানতে চাইলে নীল কমল ৯নং ওয়ার্ড থেকে বিধবা ভিক্ষুক আমেনা বলেন,আরও কাগজপত্র কিছুই নেয়নি। যদি ১০টিয়া দিয়ে চাইল হাইতাম তাহলে তো ভালেই হইতো। স্যার আমনে আগে আর নাম নেন। স্যার চাইল পামু তো। শুক্রবার সকাল ১০টায় কলমী আনজুর হাট ১০টাকা মূল্যের চাল বিতরণের সময় বিধবা ভিক্ষুক হনুফা, বিধবা বিউটি বেগম, করুনা বেগম এসে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্যার আংগোরেদে কার্ডও দেয়নি, চাইলও দেয়না। স্যার আমনে আংগোরে চাইল লইয়া দেন। এভাবে কার আগে কেউ নাম দিবে ঠেলা ঠেলি বাজছে তাদের মধ্যে।
বাংলাদেশ নিম্ম মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। মধ্য বিত্ত আয়ের দেশ ঘোষণার অপেক্ষা রয়েছে। এতেও কি প্রশ্ন থেকে যাবে? সচেতন মহল বলেন, ১০টাকার চাল কি পাবেনা ভিক্ষুকেরা। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে পারবেনা কি সরকার। উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যান, মেম্বারগনের সদ-ইচ্ছা থাকলে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন