শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা সঙ্কটে এনজিওগুলোর জন্য টিআইবির ১০ দফা সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ক্রম সংক্রমিত করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় এনজিওগুলোকে তাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ ১০টি সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি পরিচালিত ‘করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় সাড়াদানকারী বেসরকারি সংস্থাসমূহের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো উল্লেখ করা হয়। সুপারিশগুলো হচ্ছে- (১) করোনাকালে তৃণমূল পর্যাযে বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমূহের বিভিনড়ব কার্যক্রমের (সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, নগদ অর্থ সহায়তা এবং ত্রাণ তৎপরতা) ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সমন্বয় সাধন করতে হবে। (২) বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থা কর্তৃক করোনাকালীন গৃহিত কর্মসূচির ধরন, আওতা, ব্যয় উপকারভোগীর তথ্য ইত্যাদি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ ও নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করতে হবে। (৩) করোনাকালীন মাঠ পর্যাযে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত কার্যক্রম বিশেষত উপকারভোগীদের ত্রাণ সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে তদারকি সংস্থা কর্তৃক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। (৪) কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা নিরসনে তদারকি সংস্থা কর্তৃক উপকারভোগীদের তথ্য সংবলিত একটি সমন্বিত ডাটাবেজ ও ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করতে হবে।
(৫) যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলায় সরকারকে শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব এনজিও নেটওয়ার্ক/প্ল্যাটফর্মকে সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। (৬) দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোর কর্মপরিকল্পনায় স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং কর্মসূচিতে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য জীবিকায়ন ও সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। (৭) বিভিনড়ব দুর্যোগে বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক সাড়া প্রদান কার্যক্রম পরিচালনের জন্য সরকার কর্তৃক এবং দাতা সংস্থা কর্তৃক দু’টি ভিনড়ব তহবিল গঠন করতে হবে। (৮) বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিশেষকরে টিকা নিবন্ধন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। (৯) আর্থিক ঝুঁকিতে পড়ায় স্থানীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলোকে টিকে থাকার জন্য সরকার ও দাতা সংস্থা কর্তৃক নীতি সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। (১০) ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে করোনাকালীন সঙ্কট মোকাবিলায় সহজ শর্তে, স্বল্প সময়ে কম সুদে ঋণ প্রাপ্তির ধারাবাহিকতার পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা সদস্যদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বাজারজাতকরণের সুবিধা প্রদান করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। টিআইবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হানড়বান সখিদার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের
রিভিউ পিটিশন খারিজ
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিকুল আমীনের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ। তিনি শুনানিতে বলেন, যে গাছ বিμি করে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম সেই গাছ আর পাইনি। আর আইনে এই অপরাধে যতটুকু সাজা সে মেয়াদের সাজা এরই মধ্যে রফিকুল আমীনের খাটা হয়ে গেছে।
আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই তিনি পূরণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে রিভিউ করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তার জামিন আবেদ খারিজের আদেশই বহাল থাকল। আর টাকা ফেরত দিতে তার শর্তসংক্রান্ত যে আদেশ ছিল, সেটাও বহাল থাকল। সর্বোপরি পূর্বের শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত তার মুক্তি মিলছে না।
প্রসঙ্গত: ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুটি মামলা করে। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমীনকে জামিন দেন। যেখানে শর্ত দেয়া হয় যে, ৬ সপ্তাহের মধ্যে ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে ২৮০০ কোটি টাকা অথবা অন্য কোনোভাবে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু শর্তপূরণ করতে না পারায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের জামিন আটকে যায়। তাকে কারাগারেই থাকতে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন