দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ভেন্যু সংকট দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এই সমস্যার কারণে বছরের পর বছর বিভিনড়ব ক্রীড়া ফেডারেশনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্রীড়া ফেডারেশন রয়েছে। কিন্তু এই ফেডারেশনগুলোর ৭৫ ভাগেরই নেই অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা বা ভেন্যু। ডিসিপ্লিনের তুলনায় দেশে ক্রীড়া স্থাপনার সংখ্যা নেহাতই কম থাকায় বা ভেন্যু সংকটের কারণে অনেক খেলাই সময় মতো গড়াতে পারে না। ফলে কোনও একটি ভেন্যুতে হয়ে থাকে একাধিক খেলা। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) জিমন্যাশিয়ামের ভেন্যু নিয়ে ঘটেছে ভাংচুরের ঘটনা। তাই এবার ভেন্যু সংকট সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর হাওলাদারের সই করা একটি চিঠি ৯ জানুয়ারি দেশের প্রায় সব ক্রীড়া ফেডারেশনে পাঠানো হয়েছে। এই চিঠি ফেডারেশনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সভা ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। সভার পরবর্তী দিনক্ষণ এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
নেপাল সাউথ এশিয়া (এসএ) গেমসে ২৫ ডিসিপ্লিনে অংশ নিয়ে ছয় ডিসিপ্লিনে ১৯টি স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ। নেপালে স্বর্ণ জেতা ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে ক্রিকেটই স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের অনুশীলনের জন্য ভেন্যু জটিলতা নেই। সবচেয়ে বেশি ১০ স্বর্ণ জেতা আরচ্যারির অনুশীলনের জন্য অবশ্য টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামটি বরাদ্দ রয়েছে। তবে বাকি চারটি তায়কোয়ান্ডো, জিমন্যাস্টিক্স, কারাতে ও ভারোত্তোলনের অনুশীলন হয় অন্যদের সঙ্গে এনএসসি’র জিমন্যাশিয়াম ভাগাভাগি করে। এসএ গেমসে দুটি রুপা জেতা উশুকে অনুশীলন বা খেলা চালাতে কখনো হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম, কখনো বা শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কিংবা ভাগাভাগি করতে হয় মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামটি। চলতি বছরই বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। এই তিনটি গেমসের বিভিনড়ব ডিসিপ্লিনের ক্যাম্প করা ও অনুশীলন নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আসনড়ব তিন আন্তর্জাতিক গেমসকে সামনে রেখে নতুন নির্মাণ নয়, পুরাতন যে ভেন্যুগুলো রয়েছে সেখাইে সকল ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায় তারা। এ জন্যই ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে সভা করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন