বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

নতুন বলেই স্বাচ্ছন্দ তার

প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ৬ উইকেট (৬/৮০)। অভিষেকে জ্বলে ওঠা এই অফ স্পিনার না জানি দ্বিতীয় টেস্টে কতোটা সমস্যার মুখোমুুখি হন। টেস্ট অভিষেকে ইতোপূর্বে ৫ উইকেটের ইনিংসের কৃতিত্ব আছে বাংলাদেশের ৬ বোলারের, ওই অতীতই মিরাজের বোলিং ধারাবাহিকতায় ছিল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে মিরাজ ম্যাজিক ঢাকা টেস্টেও অব্যাহত। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৬ উইকেট (৬/৮২)। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে প্রথম ২ টেস্টে এমন বোলিংয়ে এটাই ইতিহাস। অথচ কি জানেন, এমন বিরল ইতিহাস রচনায়ও উচ্ছ¡াসটা রেখেছেন চাপা মেহেদী হাসান মিরাজÑ‘অবশ্যই ভালো লেগেছে, কারন দুইবার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। পাঁচ উইকেট নিতে হবে, এমনটা আশা কখনো করিনি। চেষ্টা করি সব সময় যেনো গড়পড়তা পারফর্ম করতে পারি দলের জন্য। সব সময় চেষ্টা করি গড়পড়তা পারফর্ম করতে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়েছে বলে সেই টেস্টে মিরাজ সম্পর্কে তেমন ধারনা ছিল না ইংল্যান্ডের। সেটাই কাজে লাগিয়েছেন মিরাজ। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে দারুন বোলিংয়ে নিজের অস্ত্রগুলো সব খুলে ফেলায় ঢাকা টেস্টে বোলিং ধারাবাহিকতা যে নিজের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল, তা মানছেন ১৯এ পা দেয়া এই অফ স্পিনারÑ‘অবশ্যই ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ ছিল। সিনিয়র বড় ভাইরা বিশেষ করে মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামীম ভাই, সাকিব ভাই আমাকে সাপোর্ট করেছেন। কষ্ট করে উইকেট নিতে হবে, তা বুঝিয়েছেন তারা।’
নবম উইকেট জুটিতে ওকস-আদিল রশিদের ৯৯ বাংলাদেশকে কি ভোগানোই না ভুগিয়েছে। সেই পার্টনারশিপ ভেঙ্গে দেয়ার দায়িত্বটা নিতে হয়েছে মিরাজকে। ইংল্যান্ডের লিডটা নিয়ে ফেলা এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করতে দ্বিতীয় নুতন বল হাতে নিয়ে মিরাজের উপর রেখেছিলেন ভরসা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অধিনায়কের একটি কথাতেই পেয়েছেন ব্রেক থ্রুর প্রেরণা মিরাজÑ‘এখন যদি আমরা ওদের আটকে দিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ম্যাচটা সহজ হয়ে যাবে। আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে। এটাই বলেছিলেন মুশফিক ভাই।’
পর পর দুই টেস্টে নতুন বল উঠেছে তার হাতে। করছেন লম্বা স্পেলে বল। সাফল্যও পাচ্ছেন নুতন বলে। স্পিনাররা যেখানে পুরোনো বলে কারিশমা দেখানোর কথা ভাবেন, সেখানে অদ্ভুত কথা শুনিয়েছেন মিরাজ। চকচকে নুতন বলেই নাকি টার্ন, স্পিন করাতে স্বাচ্ছন্দ বেশি পান মিরাজÑ‘বলটা নতুন থাকলে বেশি ভালো লাগে। যখন নতুন থাকে তখন বলটায় একটু কাজ থাকে। কিন্তু পুরনো হয়ে গেলে বলটা অনেক নরম হয়ে যায়। তখন কাজটা অনেক কম থাকে। নতুন বলে বল করতে আত্মবিশ্বাসও বেশি পাই।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরে অল রাউন্ড পারফরমেন্সে চিনিয়েছেন নিজেকে। অথচ, টেস্টে মিরাজের পরিচয় শুধুই উইকেট টেকিং বোলার! তিন ইনিংসে বোলিংয়ে যেখানে পেয়েছেন ১৩ উইকেট, সেখানে তিন ইনিংসে রানের সমস্টি মাত্র ৩। ইনিংস প্রতি ১ রান! এজ লেভেল থেকে টেস্ট লেভেলের পার্থক্যটা যে অনেক, তা মেনে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে চান মিরাজÑ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার্থক্যটা অনেক। এই লেভেলে বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে খেলতে হয়। ইংল্যান্ড টেস্টে বিশ্বমানের দল। ভবিষ্যতে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন