শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সারের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা চাষিরা

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

আলু,গম,সরিষা ও বোরো আবাদের মৌসুমে বগুড়ায় বেড়েছে সারের দাম। এই সময়ে চাষিদের বেশি দরকার হয় টিএসপি ও এমওপি সার। অথচ এ দুটি সারের মধ্যে টিএসপি বস্তাপ্রতি ৪শ’ এবং এমওপি বস্তাপ্রতি ২শ’ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভুক্তভোগী চাষিরা জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ১২শ’ টাকা টিএসপির বস্তা ১৬শ’ এবং ৮ শ টাকা এমওপির বস্তা কিনতে হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
এই মুহুর্তে চাষি পর্যায়ে ডিএপির চাহিদা তেমন একটা না থাকলেও ৮ শ› টাকার ডিএপির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। করোনাকালীন অর্থনৈতিক সঙ্কটে সারের এই বর্ধিত মুল্যের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে চাষিরা। তারা এব্যাপারে কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এদিকে বিএডিসি ও বিসিআইসির আড়াইশ ডিলারের মাধ্যমে সার বিক্রির চেইন সিস্টেম এবং কৃষি বিভাগের নজরদারি থাকার পরও কেন এই মুল্য বৃদ্ধি তা› নিয়ে নানামুখি তথ্য মিলেছে। ডিলাররা জানিয়েছেন, বগুড়া শহরের চারমাথায় বিএডিসির গোডাউন থেকে সার ডেলিভারি নিতে তাদেরকে বস্তাপ্রতি টিএসপির বেলায় ৫০ এবং অন্যান্য সারে বস্তাপ্রতি ৪০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। ফলে নিয়মের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে সার বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিএডিসি সার ডিলার এ্যাসোসিয়েশন বগুড়া শাখার সভাপতি মো. বেলালউদ্দিন গোডাউনে ডেলিভারির সময় বস্তাপ্রতি ৫০টাকা চাঁদা গ্রহণের কথা সত্য বলে স্বীকার করেন। একই সাথে খুচরা বাজারে সারের মুল্য বৃদ্ধির তথ্যও সঠিক বলে জানিয়েছেন। ডিলারদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বিএডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, সবাই কানাডার এমওপি এবং টিএসপি নিতে প্রতিযোগিতা করে। এই প্রতিযোগিতার কারনে হয়তো কিছু লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। তবে তিনি অনুযোগ করে বলেন, ঠুনকো অজুহাতে ডিলাররা সারের মুল্য বাড়িয়েছে যা গ্রহণযোগ্য নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন