দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বললেন, সংঘাত নয়, তিনি সহযোগিতা চান।
আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশের নাম না নিয়ে দাভোস ভার্চুয়াল বৈঠকে শি জিনপিং দাদাগিরি নিয়ে সতর্ক করলেন। শি বলেছেন, ''মতাদর্শগত শত্রুতার কথা তুলে অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি নিয়ে রাজনীতি করা খুবই বিপজ্জনক।''
করোনার কারণে দাভোস বৈঠক এবার ভার্চুয়ালি হচ্ছে। সেখানেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শি। তিনি জানিয়েছেন, ''ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, সংঘাতের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। এর ফলে বিপর্যয় দেখা দেয়।''
শি মনে করেন, ''একতরফা সুরক্ষার নীতি নিয়ে চললে তাতে কাউকেই সুরক্ষা দেয়া যায় না। এর ফলে অন্যদের স্বার্থে আঘাত লাগে মাত্র। সেই সঙ্গে নিজের স্বার্থও ক্ষুণ্ণ হয়। তার থেকেও খারাপ হলো দাদাগিরি। স্বাভাবিকভাবেই দেশগুলির মধ্যে মতবিরোধ থাকবে, তারা ভিন্ন নীতি নেবে। কিন্তু তাই বলে দাদাগিরি মানা যায় না।''
ট্রাম্পের সময় থেকে অ্যামেরিকা ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরেও দুই দেশের সম্পর্কে বিশেষ উন্নতি হয়নি। তাইওয়ান, উইগুর মুসলিম ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সমস্যা প্রবল। এই পরিপ্রেক্ষিতে শি-র মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া শি বলেছেন, সহযোগিতা ও আস্থার ভিত্তিতেই করোনাকে হারানো সম্ভব।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দাভোস ভার্চুয়াল বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন। মোদীর দাবি, ''সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। এটাই হলো ভারতে বিনিয়োগ করার সেরা সময়।''
মোদী বলেছেন, ''ভারতে গত ছয় মাসে ১০ হাজার স্টার্ট আপ কোম্পানি নথিভুক্ত হয়েছে। ভারতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ রয়েছে। কর্পোরেট কর ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ বছর ভারত ক্লিন ও গ্রিন শক্তির পথে চলবে।'' সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স, পিটিআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন