ইংরেজি নববর্ষের বার্তায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আরো বেশি প্রভাবশালী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই বছরে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে চীন, এমন ঘোষণাই দিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকালে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে স¤প্রচারিত হয়েছে প্রেসিডেন্টের বার্তা। শি বলেছেন, ‘একটা দায়িত্বশীল বৃহৎ দেশ হিসেবে চীনের কিছু বলার আছে। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীনের কথা শুনতে হবে গোটা বিশ্বকে, চীনকে অবজ্ঞা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে না।’ নিজের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ যাতে আরো দ্রæত এগিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতেও বেজিং সক্রিয়তা বাড়াতে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন শি।
জাতিসংঘের কর্তৃত্ব এবং মর্যাদাকে চীন দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষা করবে বলে নিজের ভাষণে মন্তব্য করেছেন শি। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেও, চীনা প্রেসিডেন্টের এই ভাষণের মূল লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মহল। জানাচ্ছেন কূটনীতিকরা। এর মধ্যে, চীনের অভ্যন্তরীণ কাঠামোয় নিজের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে হওয়া পার্টি কংগ্রেসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় সব স্তরে শি অনুগামীরাই সামনের সারিতে চলে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মতামত বা ভাবধারা সর্বমান্য ভাবধারা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে চীনের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই চীনে এখন শি জিনপিং এর বিরোধিতা করা মানে দেশদ্রোহিতা করা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন