রাত পোহালেই বিপিএল। করোনা মহামারীর মহাঝুঁকি মাথায় রেখেই শুরু হতে যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এই আসর। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই করোনা ধাক্কা লেগেছে ফ্রাঞ্চাইজি লিগটিতে। একাধিক ক্রিকেটার ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এতে টুর্নামেন্ট বন্ধ করার কোনো কারণ দেখছেন না বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এবারের বিপিএল বায়োবাবল নয়, সুরক্ষা নীতি টোকিও অলিম্পিকের আদলে হবে ‘ম্যানেজড ইভেন্ট এনভাইরনমেন্ট (এমইই)’ পদ্ধতিতে। তারপরও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে যে পরিসংখ্যান আছে, এটায় আমি টুর্নামেন্ট না হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখছি না। অবশ্যই টুর্নামেন্টটা সাফল্যমন্ডিত করে শেষ করতে চাইলে, জনসমাগমের জায়গায় দলগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে।’
বর্তমানে সবকিছুই করোনার ঝুঁকি নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে তো একই দলে ১০-১২ জন ক্রিকেটার আক্রান্ত হওয়ার পরও টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়নি। বরং আক্রান্ত ক্রিকেটারদের আইসোলেশনে পাঠিয়ে সুস্থ ক্রিকেটারদের নিয়ে টুর্নামেন্ট চালু রাখা হয়েছে। বায়োবাবল থেকে বের হয়ে এখন আবার আয়োজকরা নতুন নতুন পথও অবলম্বন করছেন।
জাপানের টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরা ম্যানেজড ইভেন্ট এনভাইরনমেন্ট (এমইই) অনুসরণ করেন। বিপিএলও এবার সেদিকেই এগিয়েছে। দেবাশীষ জানান, বায়োবাবল থেকে বের হয়ে তারা এখন এমইই অনুসরণ করছেন। এই নীতিটি বায়োবাবলের চেয়ে শিথিল এবং খেলোয়াড়দের জন্য সহজ, ‘আগে আমরা বায়োবাবল বলতাম। এখন কিন্তু বায়োবাবল থেকে বিশ্বের সকল ক্রীড়া সরে এসেছে। এখন বলা হচ্ছে, ম্যানেজড ইভেন্ট এনভাইরনমেন্ট (এমইই)। বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে জিনিসটিকে ক্রীড়াবিদদের সহায়ক করার জন্য এটি করা হচ্ছে। বায়োবাবলকে কিছু শিথিল করে এমইই তৈরি করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিকে এটা করা হয়েছে। বিপিএলেও টোকিও অলিম্পিকের সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন