স্পোর্টস ডেস্ক : ছয় বছর হল পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়ীত্ব নিয়েছেন মিসবাহ-উল-হক। ঠিক তার আগের ছয় বছরে এই পদে পালাবদল হয় ছয়বার! সেই ছয় বছরে ৪৮ টেস্টে জয় মাত্র ১২টি, হার ২২ ম্যাচেই। কিন্তু মিসবাহর এই অর্ধযুগে সমান ৪৮ ম্যাচে ২৪ বারই বিজয় উদযাপন করেছে পাকিস্তান, হার মাত্র ১৩টি। এশিয়ান টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১০টি সিরিজ জয়ের রেকর্ডও মিসবাহর দখলে। যে পরিসংখ্যান তাকে বসিয়েছে পাকিস্তানের সফলতম টেস্ট অধিনায়কের আসনে।
গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস করতে নামার সাথে সাথে ইমরান খানকে ছাড়িয়ে যান মিসবাহ। পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ ৪৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক এখন চল্লিশ পেরুনো এই ‘বুড়ো’। জয়ের সংখ্যাতেও ইমরান-মিয়াঁদাদের চেয়ে দশ ম্যাচ এগিয়ে বর্তমান দলনেতা। শারজার এই ম্যাচ জিতলে আরো একটি রেকর্ড গড়বে মিসবাহর পাকিস্তান। কোন সফরে প্রতিপক্ষ দলকে ৯-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার প্রথম রেকর্ড। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ও ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ৩-০তে হারানোর পর ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও ইতোমধ্যে ২-০তে এগিয়ে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিতলেই হয়ে যাবে রেকর্ড।
তবে ইতিহাস গড়ার কাজটা প্রথম দিনেই কঠিন করে তুলেছে পাকিস্তান। ৮৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৫৫ রান। গ্যাব্রিয়েলের প্রথম ওভারেই আজহার আলী ও আসাদ শফিককে হারানোর ধাক্কা সামি আসলাম সামলে নিয়েছিলেন ইউনিস খানের সাথে ১০৫ রানের জুটি গড়ে। চা বিরতি পর্যন্তও পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৪৮। কিন্তু দিনের শেষ সেশনে বাকি ১০৭ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। দুই সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সামি আসলাম (৭৪) ও মিজবাহ’র (৫৩) উইকেট সহ এর চারটিই ছিল দেবেন্দ্র বিশুর শিকার। ইউনুস ও সরফরাজও ফেরেন অর্ধশতকের পর পরই, ব্যক্তিগত সমান ৫১ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৮৩ ওভারে ২৫৫/৮ (সামি আসলাম ৭৪, ইউনিস ৫১, মিসবাহ ৫৩, সরফরাজ ৫১; গ্যব্রিয়েল ৩/৫৮, বিশু ৪/৭৪)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন