ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেও। গতকাল বিকেলে আঘাত হানে এ ভূমিকম্প। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইএমএসসি অবশ্য প্রথমে ভূকম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১ জানিয়েছিল। পরে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ৪ জানানো হয়েছে।
ইমএসসি’র তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের আইজল শহর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং মিয়ানমারের ফালাম শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে।
উৎপত্তি ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে হলেও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের এলাকাগুলোতে ভূমিকম্পের প্রভাব টের পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায় : বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল ও এর সংলগ্ন এলাকায় গতকাল শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট। গতকাল বিকাল ৪টা ১২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে বলে আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের ফালাম শহরে বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ। তবে এতে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূকম্পন চলাকালে জনমনে ভয়-আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে বাড়িঘরের বাইরে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা দোয়া-দরূদ পাঠ করতে শোনা যায়।
ইউএসজিএস’র তথ্য অনুযায়ী, উক্ত ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। ভূপৃষ্ঠ থেকে উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ৫৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার। ভূকম্পনটি কয়েক সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার। ভূমিকম্পটি মিজোরাম, মণিপুর ও আসামে অনুভূত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন