আবার কমছে পাটজাত পণ্য রফতানি। করোনাকালে পরিবেশবান্ধব পণ্যের চাহিদার সময়েও অর্থ বছরের প্রথম ছয়মাসে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। রফতানিকারকরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুদ করে পাটের দাম বাড়িয়েছে, ফলে পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের বাজার মন্দা। তবে এ সময়ে কাঁচা পাটের রফতানি ছিলো ভালো।
দেশে রফতানির দ্বিতীয় খাত পাট ও পাটজাত পণ্য। পরিবেশবান্ধব বলে করোনাকালীন সময় পাট ও পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়ে, তাই গেলো অর্থ বছরে পাট ও পাট পণ্যের রফতানি বেশি ছিল। তবে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে গেলো অর্থ বছরের ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের একই সময়ে ৭৮ মিলিয়ন কমে রফতানি হয় ৫শ’ ৯০ মিলিয়ন ডলারের পাট পণ্য। যদিও এ সময়ে কাঁচা পাটের রফতানি বেড়েছে ৪১ শতাংশ। রফতানিকারকদের দাবি, মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুদ করে পাটের দাম প্রতি মণে বাড়িয়েছে তিন থেকে চার হাজার টাকা। বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল করিম মনে করেন, এভাবে পাটের দাম বাড়ানো না হলে রফতানি বাড়তো।
এদিকে পাটজাত পণ্য এবং পাটের তৈরি সুতা ও বস্তার রফতানি চলতি অর্থ বছরের ছয় মাসে কমেছে আশঙ্কাজনক। অথচ পরিবেশবান্ধব বলে করোনায় এর চাহিদা বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। এখানেও রফতানিকারকরা দোষ চাপাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর। তারা জানান, চড়া দামে পাট কিনে সেটা দিয়ে পণ্য তৈরির পর রফতানি করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশ বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদক ও রফতানিকারক সমিতির আহবায়ক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, একদিকে পাটের দাম বাড়তি, অন্যদিকে জাহাজ ও কন্টেইনার সঙ্কট রফতানি কমেছে।
তারা বলছেন, বছরে দেশে পাটের উৎপাদন ৭০-৮০ লাখ বেল। তবে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্বে কৃষকরা যেমন পাটের দাম পায়না, তেমনি চাড়া দামের কারণে ক্ষতিতে পড়ে রফতানিও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন