শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বোথামের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন মুশফিক

প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : যে দলটির বিপক্ষে এর আগে ছিলোনা টেস্টে জয়ের অতীত, সেই ইংল্যান্ডকেই চট্টগ্রামে কাঁপিয়ে ঢাকায় ১০৮ রানের বড় ব্যবধনে হারালো বাংলাদেশ। বাংলাদেশি পত্রপত্রিকাতে বটেই, ব্রিটিশ গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিদেশি সবগুলো মিডিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে মুশফিকদের কাছে কুক বাহিনীর এমন পরাজয়। এখনও চলছে আলোচনা, সমালোচনা। তবে এসবের কিছুই ছুঁয়ে যায়নি সাবেক ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামকে। যেখানে পান থেকে চুন খসলেই ইংল্যান্ড দলের শাপ-শাপান্ত করে ছেড়েছেন সেই বোথামই যেন ইংল্যান্ড দলের এমন লজ্জার পরও আছেন চুপ মেরে। বরং এমন জয়ে বাংলাদেশকে ‘ক্রেডিট’ দিতেও নারাজ এই ইংলিশ সাবেক! এই হার দিয়ে ইংল্যান্ড দলকেও বিচার করতে চান না বোথাম। তাঁর মতে, ভারত সফর দিয়েই বিচার করা হবে অ্যালিস্টার কুকের দলকে।

বাংলাদেশের কাছে ইংল্যান্ডের হারটা তাহলে তাঁর কাছে কিছুই নয়! বোথাম অবশ্য ঠিক সেই লাইনে ভাবছেন না। তাঁর মতে, ‘এই জয় অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। তবে তাদের এখন বিদেশের মাটিতে জিতে দেখাতে হবে। এই মুহূর্তে এটিই বাংলাদেশের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। এই একই কাজ এখন ইংল্যান্ডকেও করে দেখাতে হবে।’ বোথাম বলেছেন, ‘ঢাকা টেস্টের উইকেট ছিল বাংলাদেশের উপযোগী করে তৈরি করা। এটি পুরোপুরি স্পিন-বান্ধব উইকেট। যখন কোনো টেস্ট ম্যাচে স্পিনাররা বোলিং সূচনা করে, তখনই বোঝা যায় গোটা টেস্ট ম্যাচে কী অপেক্ষা করে আছে।’
বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজের মতো একজন তরুণ-উদীয়মান অফ স্পিনার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ দলকে। ভারত সফরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো স্পিনারের সামনে ইংল্যান্ডের অবস্থা কী হবে- এই আলোচনা উঠে গেছে এরই মধ্যে। বোথাম মনে করেন, ৫ টেস্টের এই সিরিজ দিয়েই হবে ইংল্যান্ডের আসল বিচার, ‘শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে কী হলো, এটা নিয়ে তাদের খুব একটা বিচার করা হবে না। বরং ভারতে কী হলো, সেটা দিয়েই বেশি বিচার করা হবে তাদের।’
বাংলাদেশের মতোই যে ভারতে ঘূর্ণি উইকেটে ইংল্যান্ডকে খেলতে হবে, এটি মাথায় রেখেও ইংল্যান্ড দলের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী বোথাম। তবে সাবেক এই অলরাউন্ডার মনে করেন, স্পিন নয়, পেসই হয়ে উঠবে ইংল্যান্ডের আসল অস্ত্র, ‘ইংল্যান্ডের রিভার্স সুইং করানোর বোলার আছে। যারা ঘূর্ণি উইকেটের সমীকরণ নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে আসতে পারে। যদি তারা ভারতে ভালো করতে পারে, তাহলে ইংল্যান্ড আশাবাদী হতেই পারে।’
বোথামের চ্যালেঞ্জটিই বুঝি এখন থেকেই নিয়ে নিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সমীহ করার মতো দল। কিন্তু বাইরে? মুশফিক মনে করছেন, আগামী বছর তার একটা পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে। ২০১৩ সালের মে মাসের পর থেকে দেশের বাইরে মাত্র একটা টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী বছর নিউ জিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সব মিলিয়ে সাতটি টেস্ট খেলবে মুশফিকের দল। তিনি জানান, দেশের বাইরে নিজেদের মেলে ধরার চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছে তার দল, ‘আমরা একটা লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, এমন ধারাবাহিক দল হব, যেন ঘরের মাঠে আমাদের কেউ না হারাতে পারে। আমরা যেন ধারাবাহিকভাবে ফল করতে পারি। প্রায় দেড় বছর ধরে (ওয়ানডেতে) আমরা সেটা করেছি। পরের বছর আমাদের অনেক সফর রয়েছে। চেষ্টা করবো অবশ্যই চ্যালেঞ্জটা নিতে। আমাদের এমন কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা এই চাপ সামলে নিয়ে পারফর্ম করতে পারবে।’
দেশের মাটিতে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ তিনটি টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে মুশফিকের দল। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডে খেলবে বাংলাদেশ। আপাতত সেই সফর নিয়েই ভাবছেন মুশফিক, ‘২০০৮ সালের পর বাংলাদেশ আর সেভাবে নিউ জিল্যান্ডে খেলেনি। আগামী সফর আমাদের জন্য শেখার একটা ব্যাপার হবে। সফর আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে, এটা হবে আমাদের পরবর্তী ধাপ।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন