নাটোরে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমন। বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার ৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট শনাক্ত হয়েছে ৫১ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় এই শনাক্তের হার ৫১.৫২ শতাংশ। করোনা পজিটিভ এর ৩৬ জনই নাটোর সদর উপজেলার। এছাড়াও কম বেশী সকল উপজেলাতেই করোনা সংক্রমণের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গত কয়েকদিনের করোনা সংক্রমণের রেকর্ড দেখলে দেখতে পাওয়া যায় গত ২৪ জানুযারী নাটোরে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩২.৯৪ শতাংশ, ২৫ জানুয়ারী এই হার ছিল ৪৭.৬৯ শতাংশ এবং ২৬ জানুয়ারী করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ। আর ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার এই হার হলো ৫১.৫২ শতাংশ। অর্থাৎ ক্রমাগতই নাটোওে করোনা সংক্রমন ঊর্ধ্বগতি।
জেলায় এ পর্যন্ত ৩৩৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৭৬৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ জন। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার পরিতোষ রায়।
এই পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষেরা বড়ই উৎকন্ঠার মধ্যে দিনযাপন করছে। একদিকে সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া অপরদিকে জীবন জীবিকার তাগিদে চাকুরি বা ব্যবসা কার্য চালিয়ে যাওয়া। তবে বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই সচেতনতার সাথে চলাচল করছে। তারা মাস্ক পড়ে বাজারে আসছে। আবার হ্যান্ডসেনিটাইজ করছে। এরমধ্যেও অনেক মানুষ অসচেনত ভাবেও চলাচল করছে। তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে হেঁয়ালী মনোভাব বিদ্যমান।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন করোনা মহামারী আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। কর্মচ্যুত হয়েছেন অনেকেই। আবার ব্যবসা বাণিজ্যেও অনেকে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে বিরুপ পরিবেশে কিভাবে জীবন চালিয়ে নিতে হয় তাও এই করোনা মহামারীতে শিক্ষা নেয়া হয়েছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আহমেদ জানান, করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণ সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। সংক্রমনের এই ঊর্ধ্বমুখী হার কোনো ভাবেই ঠেকানো যাবে না। এজন্য সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন