আগে কখনও কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা হয়নি ড্যানিয়েলে কলিন্সের। ২০১৬ সালে পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এতদিন তার সেরা সাফল্য ছিল ২০১৯ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা। সেই অর্জন ছাপিয়ে এবার আরও উঁচুতে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী। পোল্যান্ডের ইগা শিয়াওতেককে হারিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালের টিকেট। গতকাল রড লেভার অ্যারেনায় আসরের নারী এককের দ্বিতীয় সেমিতে সরাসরি সেটে জিতেছেন ২৭তম বাছাই কলিন্স। সপ্তম বাছাই শিয়াওতেককে তিনি হারিয়েছেন ৬-৪, ৬-১ গেমে।
ফাইনালে ২৮ বছর বয়সী কলিন্স লড়বেন শীর্ষ বাছাই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি বার্টির বিপক্ষে। দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা বার্টি একই ভেন্যুতে হওয়া প্রথম সেমিফাইনালে ৬-১, ৬-৩ গেমে পরাস্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিইসকে। তিনিও প্রথমবারের মতো উঠেছেন ফাইনালে। অর্থাৎ অবধারিতভাবে নতুন রানির দেখা পেতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
২০২০ সালে ফরাসি ওপেন জেতা শিয়াওতেক শুরু থেকেই ছিলেন চাপে। প্রথম সেটে এক পর্যায়ে ৪-০ গেমে পিছিয়ে পড়েন তিনি। ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫-৪ গেমে ব্যবধান কমিয়ে আনলেও শেষরক্ষা হয়নি। কলিন্স ৬-৪ গেমে জিতে নেন সেটটি। পরের সেটেও দাপট অব্যাহত থাকে তার। আবারও তিনি এগিয়ে যান ৪-০ গেমে। ২০ বছর বয়সী শিয়াওতেক এই দফায় একদম লড়াই জমাতে পারেননি। তিনি হার মানেন ৬-১ গেমে।
এক বছরেরও কম সময় আগে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল কলিন্সকে। সেই ধকল সামলে ফিট হয়ে কোর্টে ফিরে এমন অর্জন নিঃসন্দেহে গর্বিত করবে যে কাউকে। আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাওয়া কলিন্স ম্যাচের পর জানান, ‘আমার প্রথম গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে পৌঁছানোর এই অনুভূতিটা অসাধারণ। এটা এমন একটা অভিযান, যা রাতারাতি ঘটেনি। স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কার কথা মাথায় রেখে বলতে হয়, আমি এর চেয়ে বেশি খুশি হতে পারতাম না।’
উল্লেখ্য, অন্য তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরে এখনও সেমিফাইনাল পেরোনো হয়নি কলিন্সের। ২০২০ সালের ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন তিনি। আর ২০১৯ সালের উইম্বলডন ও ২০২১ সালের ইউএস ওপেনে তার যাত্রা থেমেছিল তৃতীয় রাউন্ডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন