শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি নিশ্চিহ্ন: শেখ পরশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:০৩ পিএম

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, কোনো অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি অতীতের কোনো সরকার। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা সরকারই উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করে। তাদের সুখ-শান্তি ও জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবে। শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি আজ নিশ্চিহ্ন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে রংপুর অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় ১০০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝেও কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে বাংলাদেশে ৭ম প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। ৮টি জেলা, মোট ৩৩টি নির্বাচনি আসন নিয়ে আমাদের রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগীয় সদর দফতর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বিভাগীয় সদর দফতরে প্রতিবন্ধীসহ সাধারণ জনগণ অনন্য সেবা পাচ্ছেন। রংপুর বিভাগকে একসময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাৎপদ ভাবলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে বলে দাবি করে শেখ পরশ। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগ এখন খাদ্য-শস্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই বিভাগের অভাব দুর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইলের কাজ চলছে। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে মানবিক বাংলাদেশের চেতনাকে পুনরোজ্জীবিত করেন। বিশ্বের অন্যতম সৎ, দক্ষ ও সেরা প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতিসহ তিনি অর্জন করেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’, ‘বিশ্বমানবতার নেতৃত্ব’, ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক নেতা’, ‘মানবতার চ্যাম্পিয়ন’ এবং অনেক মর্যাদাপূর্ণ বিশেষণ। তাঁর উন্নয়ন তত্ত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশও অর্জন করেছে সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে নেতৃত্ব দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিহত করে মানুষের সুখে-দুঃখে সহমর্মী হওয়া। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে অনেক মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ‘মানবিক যুবলীগ’-এ পরিণত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। প্রতিটি মানুষের যেন জীবনের উন্নতি হয়, প্রতিটি ছেলে-মেয়ে লেখা-পড়া শিখে মানুষ হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেনও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। যেই উন্নত জীবন মানবিকতা বিবর্জিত নয়, বরঞ্চ একাটা ন্যায় পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম গণমানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে বিপ্লবী ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এভাবেই বাংলার আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা নববিপ্লবের সূচনা করবে আমাদের প্রগতিশীল যুবসমাজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন