সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কিংবা পদত্যাগে বাধ্য করা কর্মীদের পুনর্বহালের অনুরোধ করেছে ব্যাংকারদের নিয়ে গঠিত ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে বেঁধে দেওয়া সর্বনিমড়ব বেতন কাঠামো বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল রোববার বিডব্লিউএবির প্রেসিডেন্ট ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. শফিকুর রহমানের সই করা চিঠি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) কাছে পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ২০/০১/২০২২-এর বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ইতোমধ্যে গভর্নর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আশা করি, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনায় সার্বিক বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষিতে বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের বিষয় বা মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় সরকারি, বেসরকারি বা ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেও কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যালোচনা করে পুনঃনির্ধারণ করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। কর্মপরিবেশ সুন্দর হয় এবং সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সুফল বয়ে আনে।
এসব দিক বিবেচনায় বিডব্লিউএবির পক্ষ থেকে বিএবি ও এবিবকে কয়েকটি বিষয় বিবেচনার অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-২ তারিখ ২০/০১/২০২২ এবং সার্কুলার নং-২১ তারিখ ১৬/০৯/২০২১ দ্রুত বাস্তবায়ন করা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বেতন কাঠামো সহজতর করার জন্য ব্যাংকসমূহের কর্মকর্তাদের পদবীবিন্যাস প্রণয়ন। যেমন-শিক্ষানবিশ অফিসার, অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও। এছাড়া সাধারণভাবে সব ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বাৎসরিক ইনμিমেন্ট প্রদান করা ও সব ব্যাংকে একই ধরনের পদোনড়বতি নীতিমালা প্রণয়ন এবং তদনুসারে অন্তত প্রতি তিন বছর অন্তর পদোনড়বতি কর্যকর করা। চিঠিতে আরও বলা হয়, অধিক সন্তোষজনক কর্মফলের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের প্রতি দুই বছর অন্তর এক্সসেলারেইটেড পদোনড়বতি বিবেচনা করা এবং প্রত্যেক ব্যাংকের বাৎসরিক মুনাফার ভিত্তিতে ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন