হালকা ওয়ার্মআপের পর ফুটবল দিয়ে শুরু হলো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অনুশীলন। ফুটবল অনুশীলন শেষে সবে বল হাতে নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওইদিকে একটি নেটে তামিম ইকবাল সামলাচ্ছিলেন পেস বোলারদের, আরেকটিতে আফগানী ব্যাটার মোহাম্মদ শাহজাদ খেলছিলেন স্পিনারদের। বাকিরা ব্যস্ত ফিল্ডিং অনুশীলনে। এমন সময় হুট করে সেখানে নামল একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। নিরাপদ জায়গায় যেতে ছুটাছুটি লেগে গেল ক্রিকেটারদের। অ্যাম্বুলেন্সটি কোথায় নামবে বুঝতে পেরে সতীর্থদের সরে যেতে বলছিলেন মাশরাফি। প্রচুর ধুলো, মরা ঘাস উড়িয়ে চারপাশ অন্ধকার করে গতকাল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলা একটার পরপর মাঠে নামে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে গতকাল অনুশীলন করে ঢাকা। বেলা তখন ১টা ১০ মিনিটের মতো। ওই সময়েই মাঠে চলে আসে সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। নামে মাঠের ঠিক যে পাশে অনুশীলন করছিলেন খেলোয়াড়রা। অথচ মাঠের পুরো অংশই ছিল খালি। একজন মাঠকর্মীকে দেখা যায় পতাকা উড়িয়ে ইশারা করতে, কোথায় নামতে হবে। পাইলট হয়ত তা বুঝতে পারেননি। নামান খেলোয়াড়দের জটলার ঠিক মাঝে।
খেলার মাঠে এভাবে হেলিকপ্টার নেমে যাওয়ার দৃশ্য বিরল। মাশরাফি, তামিম, মাহমুদউল্লাহরা কিছুটা অবাক। পাখার বাতাসে ধুলো উড়িয়ে চারপাশ তখন অন্ধকার। আন্দ্রে রাসেল জোরেই জিজ্ঞাসা করলেন, কি হচ্ছে? শাহজাদও একই প্রশ্ন করেন। পরে জানা যায় এর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বা মিনিস্টার ঢাকার সঙ্গে। একজন মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে স্টেডিয়ামে নামে সেই এয়ার এ্যাম্বুলেন্স। জেলা প্রশাসক কর্তৃক নামার অনুমতিও নিয়েছে তারা। মানবিক কারণে বিপিএলের অনুশীলনের মাঝেও অনুমতি দেওয়া হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক শাহবুদ্দিন শামীম জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার অনুমতি ছিলই। তবে পাইলট মাঠের ভুল জায়গায় নামায় অনুশীলনে এই বিপত্তি হয়েছে। রোগী আসার খবর পেয়ে শান্তই ছিলেন ক্রিকেটাররা। মহামারীকালে সবাই সুরক্ষার জন্য নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছিলেন কি হচ্ছে না হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন