দেশের মাদারাসা শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের ব্যাপারে নির্দেশনার পাশাপাশি ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এ বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এ বিবৃতির মাধ্যমে এসব কথা প্রকাশ পায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যা পূরণীয় নয়। জাতীর মেরুদন্ড হিসেবে আখ্যায়িত শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে বিরূপ প্রভাবে নিঃসন্দেহে দেশের ভবিষ্যৎ হুমকিরমুখে পড়বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় ইতিমধ্যেই দেশের শিক্ষা ধারাকে স্বাভাবিক করার ব্যাপারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ধারাকে তরান্বিত করার ব্যাপারে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দকে আরো সচেতন হতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় ইতিমধ্যে দেশের সিংহভাগ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করেছে। তদুপরি মুষ্টিমেয় যেসকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা একটিও টিকা গ্রহণ করেনি কিংবা দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেনি অচিরেই সরকারি বিধি মোতাবেক তাঁদের টিকার আওতায় আনার ব্যাপারে মাদরাসা প্রধান, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দকে সচেতন হয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলকে শতভাগ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। অন্যথায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে এনে পূর্বের ন্যায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না। যাতে শুধু দেশই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে আশংকা করছি।
তাই আসুন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সকল ডোজ সম্পন্নের ব্যাপারে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করি এবং দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দেয়ার ব্যাপারে সকলেই সোচ্চার হই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন