শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এবার খুলনার নায়ক ফ্লেচার, সৌম্য

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১১ এএম

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট সানরাইজার্স : ২০ ওভারে ১৪২/৫ (সিমন্স ৬, বিজয় ৪, মিঠুন ৭২, ইনগ্রাম ২, মোসাদ্দেক ৩৪, মুক্তার ৫*, নাদিফ ৬*; খালেদ ২/২০, নাবিল ১/১০, কামরুল ১/৩১, শেখ মেহেদী ০/৮, সেকুগে ০/২২, থিসারা ০/৩০, সৌম্য ১/১৬)।
খুলনা টাইগার্স : ১৪.২ ওভারে ১৪৪/১ (ফ্লেচার ৭১*, সৌম্য ৪৩, থিসারা ২২* ; সিরাজ ০/১৮, গাজী ০/১৫, মুক্তার ০/৩১, অপু ১/৩৯, মোসাদ্দেক ০/২০, জুবায়ের ০/২০)। ফল : খুলনা টাইগার্স ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আন্দ্রে ফ্লেচার।

তার হাতে বরাবরই মেলে বড় ইনিংসের দেখা। সেই কাজেই তাকে দলে নেয়া, তবে নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারছিলেন না আন্দ্রে ফ্লেচার। আগের ম্যাচে তো তার ব্যাটিং জন্ম দিয়েছিল রাজ্যের প্রশ্ন আর বিস্ময়ের। করোনা ধাক্কা কাটিয়ে দলে যোগ দিয়ে সৌম্য সরকারও খুঁজে ফিরছিলেন নিজেকে। এই দুজনের মন্থর ব্যাটিংয়ে বিরক্তি ঝেড়ে স্বয়ং মুশফিকুর রহিম পর্যন্ত বলেছিলেন, ‘মারতে হবে অথবা আউট হয়ে যেতে হবে’। অধিনায়কের করা বিরক্তিগুলোকেই এবার যেন ব্যাটিং ঝড়ে এক ঝটকায় উড়িয়ে দিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। রান পেলেন সৌম্যও। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাত্তাই পেলন না সিলেট সানরাইজার্স। বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া খুলনা টাইগার্স জয়ে ফিরল ঢাকায় ফিরেই। সিলেটকে উড়িয়ে দিল তারা ৯ উইকেটে।
বোলিংয়ে ধার নেই। রানরেটের চাপ নেই। ছন্দে ফেরার এটাই আদর্শ সুযোগ। এদিন যে নিজেদের প্রমাণের উৎকৃষ্ট এক মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিলেন ফ্লেচার আর সৌম্য। রান-খরায় থাকা খুলনার টপ অর্ডার সে সুযোগই কাজে লাগাল। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের ম্যাচে সিলেটের ১৪২ রান খুলনা পেরিয়ে যায় ৩৪ বল বাকি রেখেই। ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংসে রান তাড়ার নায়ক ফ্লেচার। সৌম্য অবশ্য ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। তবে আগের ম্যাচগুলির ব্যর্থতা পেছনে ফেলে অন্তত রানের দেখা পেয়েছেন। ৩১ বলে করেছেন ৪৩। বিরাট এক জয়ে রানরেটও বাড়িয়ে নিল মুশফিকের দল।
হোম অব ক্রিকেটে এদিন নায়কের ভূমিকায় আগের মাচের দুই ‘খলনায়ক’ ফ্লেচার ও সৌম্য। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক শুরুর দেখা পেল খুলনা। সিলেটের বোলিংকে সাদামাটা বানিয়ে দুজনের চার-ছক্কা মারতে সমস্যা হয়নি। মুক্তার আলী, নাজমুল ইসলাম, সোহাগ গাজীদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলেছেন দুজন। সৌম্য ৩১ বলে ৪১ রানে আউট হলেও ফ্লেচার-ঝড় থামেনি। ৪৭ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ফ্লেচার ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ৫ ছক্কায়। ফ্লেচারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত রান তুলেছেন থিসারা পেরেরা। রানরেট বাড়াতে তিনে পাঠানো হয় পেরেরাকে, ৯ বলে ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ইনিংসের ১৪.২ ওভারে জয় তুলে নেয় খুলনা।
সিলেটের ইনিংস একাই টেনেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। খুলনার আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে যখন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন মিঠুন খেলেছেন এবারের বিপিএলে তার সেরা ইনিংস। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে মিঠুন গড়েন ৫১ বলে ৭১ রানের দারুণ এক জুটি। ৩০ বলে মোসাদ্দেক ৩৪ রান করে আউট হলেও মিঠুন খেলেছেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। একাই চার-ছক্কা মেরে শেষ পাঁচ ওভারে ৫৬ রান যোগ করেন মিঠুন। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫১ বলে ৭২ রান। মিঠুনের ইনিংস সেজেছে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। তাতে সিলেট ৫ উইকেটে ১৪২ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায়। খুলনার খালেদ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। নতুন ও পুরোনো বলে উইকেট পেয়েছেন তিনি। তবে নাবিল সামাদ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে সিলেটের রানরেট বাড়তে দেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন