কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন বেসরকারি খাতের সামিট এলএনজি টার্মিনালের ৫৮ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক আদেশ জারি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট ১৮৯৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
সামিট গ্রুপ মহেশখালীতে একটি নতুন ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেস করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) সঙ্গে ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ প্রাথমিক চুক্তি সই করেছে। সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের পর ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ-মালিকানা-পরিচালন-হস্তান্তরের (বিওওটি) ভিত্তিতে এ টার্মিনাল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার কথা।
এই টার্মিনালে আমদানি করা এলএনজি থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এভাবে ১৫ বছর চলার পর পেট্রোবাংলার কাছে টার্মিনালটির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে সামিট গ্রুপ। আইআরডির আদেশে বলা হয়, বেসরকারি খাতে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কর্তৃক কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের নিমিত্তে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ‘দলিলসমূহের নিবন্ধনে’র ক্ষেত্রে আরোপনীয় স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ মোট ৫৮ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মওকুফ করা হলো। এলএনজি টার্মিনালটি নির্মাণে সামিট গ্রুপকে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন