পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবারের মৌসুম খেলেই অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সে পথে কাল তার শেষের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কাছে ৪৩ রানে হেরেছে আফ্রিদির দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। হার-জিত খেলারই অংশ, তাই এই ম্যাচে এটুকু মেনে নিতে পারলেও বাজে বোলিংয়ের রেকর্ডটা কি ভুলতে পারবেন আফ্রিদি?
পিএসএলে গতপরশু রাতে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ইসলামাবাদের ৪ উইকেটে ২২৯ রানের ইনিংসে আফ্রিদির ‘অবদান’- ৪ ওভারে ৬৭ রানে ১ উইকেট। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ১টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি স্পিনার জাফর গহরের কাঁধ থেকে ‘বোঝা’ নেমে গেল। গত বছর পিএসএলে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ৬৫ রান দিয়ে রেকর্ডটির বোঝা এত দিন বহন করেছেন জাফর গহর।
পল স্টার্লিং, কলিন মানরো ও আজম খানদের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে তেমন ‘ডট’ বল আদায় করতে পারেননি কোয়েটার বোলাররা। সর্বোচ্চ ১১টি ‘ডট’ আদায় করেন মোহাম্মদ নওয়াজ, আফ্রিদি ৪ বল ডট খেলাতে পেরেছেন। তবে নিজের ৪ ওভারের কোটায় ৮টি ছক্কা মেনে নিতে কষ্ট হবে আফ্রিদির। পিএসএলের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ইনিংসে ৮টি ছক্কা হজম করলেন তিনি। আফ্রিদির প্রথম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকান মানরো, তৃতীয় ওভারে দুটি এবং চতুর্থ ওভারে আরও তিনটি ছক্কা মারেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন খানের ছেলে আজম খান।
মারমুখী ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারজুড়ে খ্যাতি কুড়ানো আফ্রিদি ব্যাটিংয়েও ভালো করতে পারেননি। ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন। দ্রুত রান তুলতে অভ্যস্ত এই অলরাউন্ডারকেই এদিন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাছে ধুন্ধুমার মার হজম করতে হলো। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তান ক্রিকেটের বেশির ভাগ ভক্ত কিন্তু আফ্রিদির পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। ৪১ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে নিয়ে এক ভক্তের টুইট, ‘বুম বুম শহীদ আফ্রিদির সেরা সময় যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে তার এমন বোলিং দেখা সত্যিই কষ্টকর। এক দশক আগেও তিনি যেমন ছিলেন, এখন তার ছায়া হয়েও নেই। টিকে থাকো চ্যাম্পিয়ন!’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন