শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ব্যাটে-বলে বরিশালের নায়ক সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৯ এএম

মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু আনার পর ফরচুন বরিশালের ইনিংস টানলেন সাকিব আল হাসান। করলেন আরেকটি ফিফটি। শেষ দিকে জুতসই রান না এলেও বোলিং দিয়ে আবারও ঝলক দেখালো সাকিবের দল। তাতেও দারুণ বল করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩২ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বরিশাল। আগে ব্যাট করে বরিশালের করা ১৫৫ রানের জবাবে ১২৩ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে কুমিল্লা। দলের জয়ে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫০ করার পর বোলিংয়ে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে নায়ক সাকিব। এই নিয়ে বরিশালের টানা তিন জয়ে দলের সেরা পারফর্মার হলেন তিনি। এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে গেছে বরিশাল। মাঝে সিলেট সানরাইজার্সের সঙ্গে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়াতেই যা একটু ছন্দপতন হয়েছিল তাদের। সেটি বাদ দিলে সাকিবের দল জিতল টানা চারটি ম্যাচ। অন্যদিকে সাত ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার ইমরুল কায়েসের কুমিল্লার।
লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না- মাত্র ১৫৬ রান। সেটি তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ইমরুলকে হারানোর ধাক্কা খায় কুমিল্লা। সাকিবের বলটি খুব ভালো ছিল না, তবে ইমরুল ক্যাচ তুলেছেন তাতেই। সাকিবের পরের ওভারে স্টাম্পড হন লিটন, ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কুমিল্লা। পাওয়ারপ্লের আগে মাহমুদুল হাসানকেও হারায় কুমিল্লা। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিতে একটা জুটির দরকার ছিল কুমিল্লার। মঈন ও মুমিনুল গড়ছিলেন সেটিই। এরপরই নাজমুল এসে ফেরান মঈনকে, কুমিল্লাও পথ হারায় দ্রুত। দলে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার খেলিয়েছে কুমিল্লা, তবে সে অর্থে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। তিনে নেমে ৩০ বলে ৩০ রান করেছেন মুমিনুল হক, শেষ দিকে করিম জানাতের ১৩ বলে ১৭ ও তানভীরের ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বরিশালের অফ স্পিনার নাঈম হাসান, ২ উইকেট নিতে ২৯ রান খরচ করেছেন ডোয়াইন ব্রাভো।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে দলকে উড়ন্ত শুরু পাইয়ে দেন মুনিম। ক্রিস গেইলকে একপাশে রেখে তুলেন ঝড়। ৮ বলে ১০ করে আরেকটি ব্যর্থতায় গেইল থামলেও চলে মুনিমের ব্যাট। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবাহনীর হয়ে আলো কেড়েছিলেন তিনি। তবু বিপিএলে ড্রাফট থেকে তাকে কেউ নেয়নি। পরে দল পান বরিশালে। প্রথম ম্যাচে নেমে শুরুতে আউট হলেও দ্বিতীয় সুযোগটা কাজে লাগালেন ময়মনসিংহের এই ডানহাতি ওপেনার। মুনিমের ব্যাটেই পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারে বরিশাল। দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়েও নিজের ফিফটিটা পাওয়া হয়নি তার। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় ৪৫ করে ক্যাচ দেন মঈন আলির বলে। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত এদিনও ছিলেন ব্যর্থ।
তবে অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট আবারও হেসেছে। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দলের গতি চালু রাখেন তিনি, তার সঙ্গে আরেক পাশে তৌহিদ হৃদয় ছিলেন মন্থর। ৬৭ রানের জুটি এলেও লেগে যায় ৫৫ বল। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় ৫০ করে ফেরেন সাকিব। হৃদয় আর আউটই হননি। ৩৭ বল খেলে শম্ভুক গতিতে করেছেন ৩১ রান। তবু ব্রাভোর ৬ বলে ১০ রান দেড়শো ছাড়ায় বরিশালের ইনিংস। পরে বল হাতে দলকে পাইয়ে দেন দারুণ এক জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৫৫/৫ (মুনিম ৪৫, গেইল ১০, শান্ত ১, সাকিব ৫০, হৃদয় ৩১*, ব্রাভো ১০, সোহান ৩*; নাহিদুল ০/৩০, মুস্তাফিজ ১/৩০, তানবীর ২/২২, সুমন ০/১৬, নারাইন ০/২৫, মঈন ১/২১, করিম ১/৬)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১২৩/৯ (লিটন ১৯, ইমরুল ১, মুমিনুল ৩০, জয় ৫, মঈন ৬, নারাইন ৩, করিম ১৭, সুমন ৮, তানবীর ২১*, সুমন ৮, মুস্তাফিজ ৭*; মুজিব ০/২৭, সাকিব ২/২০, ব্রাভো ২/২৯, নাঈম ৩/২৯, শান্ত ১/৫)। ফল : ফরচুন বরিশাল ৩২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাকিব আল হাসান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন