সাতক্ষীরায় সুন্দরবনের বাঘের সঙ্গে নৌকার বৈঠা নিয়ে লড়াই করে বেঁচে ফিরছিলেন আবু হায়াত ঢালী (৪০) নামে জেলে। আহত হলেও প্রাণ নিয়ে উভয়ই ফিরেছেন। আহত জেলে আবু হায়াত ঢালী শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে।
আবু হায়াত জানান, কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে আবু হায়াত, পার্শ্বেখালী গ্রামের কেরামতের ছেলে বাবলু (৪৫) ও আরশাদ গাজীর ছেলে ইসলাম (৫২) পশ্চিম সুন্দরবনের দায়েরগাং এলাকায় মাছ ধরতে যায়। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জাল উঠানোর সময় হঠাৎ করে সুন্দরবনের ভেতর থেকে বাঘ আবু হায়াতের উপর আক্রমণ করে। এ সময় তার উপর সঙ্গী বাবলু, আরশাদসহ আশপাশের জেলেরা চিৎকার করে উঠে এবং সকলের প্রচেষ্টায় বাঘের কবল থেকে আবু হায়াতকে রক্ষা করে। বাঘের আক্রমণে আবু হায়াতের মাথায়, চোয়ালে, চোখের নিচে, গলা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গতকাল সোমবার ভোরে আহসানকে বাড়িতে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, আবু হায়াত বৈধ পাশ পারমিট নিয়ে মাছ ধরার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হয়। আবু হায়াতের বর্তমান অবস্থা কী তা জানার জন্য খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা হারুন-উর-রশিদ জানান, গত ২৯ জানুয়ারি কৈখালী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাঙ গ্রামের কেরামত সানার ছেলে বাবলু ও একই গ্রামের মৃত আরশাদ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম ও ৬নং রমজাননগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টেংরাখালি গ্রামের মৃত আহসান ঢালীর ছেলে আবু হায়াত ঢালী এক সঙ্গে মাছ ধরতে সুন্দরবনে যান। সকালে খবর পেয়েছি আবু হায়াত ঢালী বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে লোকালয়ে এনেছে। তিনি বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
প্রসঙ্গত, আবু হায়াত ঢালীর চাচা টেংরাখালি গ্রামের আনছার ঢালী ইতোপূর্বে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘে আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন