শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ঋণ পাওয়ার যোগ্যতায় নীতিমালা শিথিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ব্যাংকের ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ৪০ শতাংশের কম পয়েন্ট পেলে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার অগ্রহণযোগ্য হিসাবে গণ্য হবেন। এই ধরনের গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। এতদিন যা ছিল ৪৫ পয়েন্ট। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠায়।

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন গ্রাহকদের বছর শেষে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশের বেশি পয়েন্ট পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি থেকে ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫৫ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। তবে ৪৫ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না। যা নতুন সার্কুলারে কমানো হয়েছে।
জানা যায়, করোনার কারণে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই মান অনেকের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নীতিমালাটি শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই নীতিমালা শিথিল করেছে। এখন থেকে অতি উত্তম ও ভালো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে একই মান রাখা হয়েছে। তবে প্রান্তিক ও অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে গড়ে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
নীতিমালা অনুযায়ী, অতি উত্তম গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া ও আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে কোনো বাধা থাকবে না। ভালো গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রান্তিক গ্রাহকদের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে সতর্ক হতে হবে। তাদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করা যাবে। তবে কোনো গ্রাহক ৪০ শতাংশের কম পয়েন্ট পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবেন। তিনি নতুন ঋণ পাবেন না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে পারবেন।
সার্কুলারের বিধিবিধান এখন থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ওইদিন থেকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা আগের সার্কুলারের বিধিবিধান কার্যকর হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
দূর্নীতি মুক্ত না হলে ১০০% পয়েন্ট দেখালেও কোন লাভ হবেনা। দূর্নীতি সবকিছুই দংশহয়। টাকা দিলেই সর্ব উচ্চ পয়েন্ট দেখানো হয়। আবার টাকা আত্মসাৎ করিতে না পারলে ঋণ বিতরণ শর্তের পর্বেই Cib classified করে। আমার দৃষ্টিতে cib online করা হলে গ্রাহক পর্যায়ে নিজ নিজ চেকিং পদ্ধতি করিলে দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আসিবে।একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ না দিলে অলাভজনক দেখানো হয়। ঋণ যেখানে গ্রাহকদের সেক্ষেত্রে সকল ঋণের টাকার ব্যাবহার শতভাগ পরিক্ষা করে গ্রাহক পর্যায়ে দিলে অর্থ পাচার বৈদেশিক আমদানির উপর দুর্নীতি অনেক নিয়ন্ত্রণে আসিবে ----
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন