শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

‘নতুন’ এই বাংলাদেশে মুগ্ধ ‘পুরনো’ সিডন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

লিটন দাসের সেঞ্চুরি আর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটি যে উচ্চতায় পৌঁছে দিল বাংলাদেশের স্কোর, আফগানিস্তান পারল না ধারেকাছে যেতেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৮ রানের জয়ে তামিম ইকবালের দল নিশ্চিত করল সিরিজ জয়। এই জয়ে ইংল্যান্ডকে টপকে বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে উঠে গেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে চালু হওয়া এই আসরে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ১০০। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ৯৫। আগামীকাল এই ভেন্যুতেই হোয়াইটওয়াশের মিশনে নামবে বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা এবার আরো দূরে। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে সমান ৯৩ রেটিং নিয়ে সাতে আছে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশের (২৯৭৩) চেয়ে পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ছয়ে আছে পাকিস্তান (২৫২৪)। ৪৪৯ পয়েন্টের এই ব্যবধান ঘুঁচিয়ে ছয়ে পাখির চোখ করেছে ডমিঙ্গো শিষ্যরা।

এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গতকাল বিশ্রামে ছিলেন বাংলাদেশের মূল তারকারা। নাজমুল হোসেন শান্ত, ইবাদত হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়- ওয়ানডে দলের মাত্র এই তিন ক্রিকেটার আসেন ঐচ্ছিক অনুশীলনে। তাদের পাশাপাশি ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের চার খেলোয়াড় মুনিম শাহরিয়ার, নাঈম শেখ, শেখ মেহেদী হাসান ও শহিদুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবারই তারা এসেছেন চট্টগ্রামে। এই সিরিজ থেকেই দলের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন জেমি সিডন্স। সময় পাল্টেছে। বাংলাদেশ দলও সময়ের সঙ্গে অনেকটা পথ এগিয়েছে। নতুর রূপে আসা সিডন্সের চোখেও সেই পরিবর্তনটা ধরা পড়েছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন সিডন্স। ১০ বছর পর ফিরে এসে সেই সিডন্সই অবাক হচ্ছেন প্রতিভার ছড়াছড়ি দেখে।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে খুব কাছ থেকে দেখেছেন আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিং। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস হয়ে ওঠেন দলের জয়ের নায়ক। আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম তো আছেনই। তবে সিডন্সকে অবাক করেছে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগের গভীরতা। গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশে আসার পর তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিডন্স বললেন, ‘চার-পাঁচজন ৬ ফুট লম্বা ফাস্ট বোলার আছে, যারা ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারে বল করে। এটা খুব রোমাঞ্চকর ব্যাপার। দলে এখনো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার আছে যে প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু করে অবদান রাখছে। মিরাজ, আফিফ ও লিটনকে দেখলাম ভালো করতে। ওদের যে দক্ষতা, আশা করি সময়ের সঙ্গে আরও উন্নতি করবে।’
পারফর্ম করতে থাকা তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞদের এই মিশেলটা ভালো লেগেছে সিডন্সের। তিনি বলছিলেন, ‘এরা যত বেশি ম্যাচ খেলবে ততই বড় ম্যাচে পারফর্ম করার সুযোগ বাড়বে। ছেলেদের জন্য এই ম্যাচগুলো চাপের। ওদের ম্যাচগুলো জিততেই হতো। তরুণেরা এসব ম্যাচে ভালো করছে, এটা দেখে ভালো লাগছে। অভিজ্ঞরা ভালো করবেই। ওদের সঙ্গে তরুণদের ভালো করাটা অনেক বড় ব্যাপার।’ দলের অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো করায় সিডন্সের কাজটা নাকি একটু সহজই হয়ে গেছে। তবু ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে প্রত্যেকের খেলায় কিছু না কিছু উন্নতি আনার সুযোগ দেখছেন সিডন্স। তিনি বলছিলেন, ‘আমার কাজ অর্ধেক হয়ে গেছে, কারণ দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। তবে এখানে আফগানদের তিন স্পিনারকে খেলতে হচ্ছে। এটা মোটেও সহজ না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে খেলতে গেলে ফাস্ট বোলার থাকবে চারজন। আমাদের ওই কন্ডিশনে ভালো করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো দল। আমাদের ভালো করে যেতে হবে। ছেলেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে হবে দেশের বাইরে ভালো করার জন্য।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন