খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন, পাম তেল বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর চকবাজারের দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরর। ভোজ্যতেলের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গতকাল সোমবার পুরান ঢাকার চকবাজারে বিশেষ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার।
অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন, পাম তেল বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। এ অপরাধে চকবাজারের সাত্তার স্টোর ও জব্বার স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করলে এক বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আসছে রমজানকে সামনে রেখে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারিত হয়। বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটারের দাম ৭৯৫ ঠিক করা হয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ দাম নির্ধারণ করা হয়। সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়ার আগেই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় বাজারে খোলা ভোজ্যতেল অস্বাস্থ্যকর ও আইনবিরুদ্ধ হওয়ায় কম দামে বিক্রি হতো। এজন্য অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় খোলা তেল মোড়কজাত করে বিক্রির চেষ্টা করত। কিন্তু সরকার শুল্ক পুননির্ধারণ না করায় এখন মোড়কজাত ভোজ্যতেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি হয়ে গিয়েছে।
আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের চাহিদাকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের আমদানি, পরিশোধন কিংবা বাজারজাতের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন