দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ের হিসেবে দিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, কেউ মাসে আয় করেন ৫ হাজার টাকা; কারো মাসে আয় ৫ কোটি টাকা। এই হলো মাথাপিছু গড় আয়ের হিসেবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও শিশু সুরক্ষা’ শীর্ষক ২০তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি দেশের মাথাপিছু আয়ের এই চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা ৫জি নিয়ে কাজ করছি। তবে দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এখনো ২জিতেই আছেন। ১৫টি জেলার ১৬টি সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুরা এই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশে মাথাপিছু আয় বাড়লে বাল্যবিয়ে কমবে। তবে আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যাদের মাসিক গড় আয় ৫ হাজার টাকা। আবার অনেকে আছেন যাদের গড় আয় ৫ কোটি টাকা। তিনি বলেন, নানা কারণে বাল্যবিয়ে হয়। বাবা হয়তো মেয়েকে খেতে দিতে পারেন না। তার আয় কম। তখন বালিকা কন্যার বিয়ে দিয়ে তিনি দায়মুক্তি পেতে চান। তাই আমাদের আয় বাড়লে বাল্যবিয়ে কমবে। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই বাল্যবিয়ে হয়েছে। অনেক দেশ এটা কমিয়ে এনেছে। এখনো আমাদের শহর ও গ্রামে চুপিসারে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। অনেক প্রতিবাদ দেখি, শিশু বিবাহ হলে শিশু নিজেই রুখে দাঁড়ায়। আমি তাদের স্যালুট জানাই। মাঠ প্রশাসনও শিশু বিবাহ রুখতে কাজ করছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা ৫জি নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধেই এই বিষয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এটা নিয়ে কাজ চলছে। তবে স্বীকার করতে হবে এখনও অনেকে আছে তারা ২জি ‘তে আছে। আর বাস্তবতা সহলো ২জি বেশি মানুষ ব্যবহার করে। অনেকে আছেন যারা লিখতে পারেন না পড়তে পারনে না তারা এর বেশি চায় না, তাদের প্রয়োজনও নেই। এখনও ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ ২জিতেই আছেন।
সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করে এম এ মান্নান বলেন, কেন শুধু ইংরেজিকে প্রাধান্য দিতে হবে? ইংরেজি ভাষায় কথা না বলেও পাহাড়-সমুদ্রসহ পৃথিবীর সবকিছু জয় করছে চীন-রাশিয়া। কেউ আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে ইংরেজি ছাড়া চলে না। বাংলা ভাষা ও জয় বাংলা আমাদের সংস্কৃতি। জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু বলতে হবে।
ফেইসবুক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভয়ংকর দিক। আপনাদের বাছাই করে এটা ব্যবহার করতে হবে। অনেক ভয়ংকর দিক আছে। আমরা হুঁশিয়ার করা ছাড়া কোন উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রও কাজ করছে ফেইসবুক নিয়ন্ত্রণ আনতে। সারা বিশ্বেই এটা নিয়ে কাজ করছে। সাইবার অ্যাক্ট করেছে সরকার। এটা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছে তবে এটারও ভালো মন্দের দিক আছে। তবে ভালো টা গ্রহণ করতে হবে। পড়াশুনার ক্ষতি যেন না হয়। যেমন আমিও সময় পেলে ইউটিউব দেখে থাকি। গ্রাম বাংলার ইতিহাস ও কালচার দেখি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন