ট্রায়াল না নিয়েই দুইজন সাইক্লিষ্টকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে ২৩ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ৩৪তম এশিয়ান রোড সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। এ আসরে খেলতে বাংলাদেশ দলের দুই সাইক্লিষ্টকে ট্রায়ালের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া একই ব্যক্তি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এবং সেনাবাহিনীর কোচ। সেই সাহিদুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন সাইক্লিং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ এবং সাইক্লিষ্ট নির্বাচকদের প্রধান হিসেবে। তিনি এতগুলো পদে কাজ করছেন বলেই তার কাছ থেকে সেরাটা পাচ্ছে না ফেডারেশন- এমন বক্তব্য সাইক্লিং সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন বিশ্বাস ও সমাপ্তী বিশ্বাস নামের ট্র্যাকের দুই সাইক্লিষ্টের নাম পাঠানো হয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজকদের কাছে। এ দুইজন আসরের লং রোড ইভেন্টে খেলে ভালো ফল করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের ৪০ কিলোমিটার টাইম ট্রায়াল ও মেয়েদের ৩০ কিলোমিটার টাইম ট্রায়াল এবং মাস স্টার্ট ইভেন্টে ছেলেদের ১২০ কিলোমিটার ও মেয়েদের ৮০ কিলোমিটার ইভেন্টে খেলা হবে। যে ইভেন্টগুলোতে সাফল্য পাওয়া খুবই মুশকিল।
এ প্রসঙ্গে কোচ সাহিদুর রহমান গতকাল বলেন, ‘ফয়সাল বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে ১০০০ মিটার স্প্রিন্ট, ১৬০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়াল, ১২০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্ট, ১০০০ মিটার টাইম ট্রায়াল, ৪০০০ মিটার টিম পারস্যুটে রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছে। অন্যদিকে সমাপ্তি বিশ্বাস ৮০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্ট, ৬০০০ মিটার পয়েন্ট রেস, ১২০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়াল ও ২০০০ মিটার টিম পারস্যুটে রেকর্ডসহ স্বর্ণপদক জেতে। তারা দু’জনেই মাঠ ও রোডের সাইক্লিষ্ট। তাছাড়া আমি প্রধান নির্বাচক হলেও সাইক্লিষ্ট নির্বাচন করেছেন নির্বাহী কমিটি। তাই এনিয়ে দ্বিমত নেই।’ দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে যাওয়া সাহিদুর বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই সেখানে যাবে ছেলে-মেয়েরা। তাদের যাচাইয়ের মঞ্চও হবে এটি। এশিয়ান রোডে এই প্রথম যাচ্ছে বাংলাদেশ। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা যাবো এটা নিশ্চিত।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন