শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতেও ছন্দময় লিটন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০৮ এএম

এক বছর আগেও জাতীয় দলের আশেপাশে ছিলেন না মুনিম শাহরিয়ার। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে নজর আসেন। এরপর সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে ঝড় তুলে প্রথমবার ডাক পান জাতীয় দলে। অভিষেক হতেও দেরি হলো না তার। তবে পাওয়ার প্লে’তে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের যে উদ্দেশ্যে তাকে দলে নেয়া সেই দাবী পূরণ করতে পারেননি এই ওপেনার। বিস্তর সমালোচনার পরও টিকে যাওয়া আরেক ওপেনার নাঈম শেখও যখন ব্যর্থ, দলের বিপর্যয় কাটাতে দায়িত্বটা চওড়া কাঁধে তুলে নেন লিটন কুমার দাস। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। তার ব্যাটে বাংলাদেশ পায় ১৫৫ রানের পুঁজি। পরে নাসুম আহমেদের স্পিন বিষে আফগানদের মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে ৬১ রানের জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
অথচ, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে লিটনের শেষই দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। পাকিস্তান সিরিজে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ট্রলের শিকারও হয়েছেন বিস্তর। বাকি দুই সংস্করণ টেস্ট ও ওয়ানডেতে রান বন্যা বইয়ে টি-টোয়েন্টির জায়গাটা ফিরে পান তিনি। ফেরাটাও রাঙালেন কার্যকর এক ইনিংসে। চেনা ওপেনিংয়ের বদলে লিটন এদিন নেমেছিলেন তিন নম্বরে। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে আসায় পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চাহিদা ছিল। লিটন নেমে আড়ষ্ট হননি। জারি রেখেছেন রানের চাকা। থিতু হয়ে মিটিয়েছেন পরিস্থিতির দাবি। তবে এক পাশে উইকেট পড়ায় লিটনকে সতর্ক হতে হয়েছে। সেই সময়টা নিয়েও ফিফটি স্পর্শ করে ফেলেন ৩৪ বলেই। বাংলাদেশের ইনিংসও এগিয়ে যায় তার হাত ধরে।
মুনিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৫, সাকিবের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৬ বলে ২২, যাতে ১৬ রানই লিটনের। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৯ বলে ৩৩,যাতে ২৩ রানই লিটনের। আফিফের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে আসে ৪৬ রান। ওয়ানডে সিরিজের মতই মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের পড়েছেন ভালোভাবে। তাদের কাউকেই থিতু হতে দেননি। আরও একজন কেউ তার সঙ্গে জুতসই ব্যাট করতে পারলে দলের রান নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জিং জায়গায় যেতে পারত।
দলের আরো বড় পুঁজি আসত লিটন শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারলেও। ১৭তম ওভারে ফজল হক ফারুকির সেøায়ার পড়তে ভুল হয়ে যায় তার। টাইমিংয়ে গড়বড়ে ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। আউটের পর হতাশা ঝেড়েছেন। ৪৪ বলের ইনিংসে লিটন মেরেছেন ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কা। তিন ওভার আগে আউট হওয়ায় অন্তত ১৫-২০ রান করতে না পারার আক্ষেপ থাকবে তার। তবে টি-টোয়েন্টিতে রান খরা কাটানো, কার্যকর এক ইনিংস খেলা ভীষণ দরকার ছিল লিটনের। আপাতত তা তাকে দিতে পারে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণেও শক্ত ভিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন