রাজশাহী ব্যুরো : শীত মওসুম শুরু হলেও এখনো রাজশাহী অঞ্চলে শীত তেমন ঝাঁকিয়ে বসেনি। বন্ধ হয়নি এসি ফ্যানের সুইচ। দিনের বেলা সুর্যের তেজও কম নয়। আবহাওয়ার এমন রকম ফেরের মধ্যে বাজারে চলে এসেছে আগাম লাগানো শীতকালীন শাকসবজি। নজর কাড়ছে ধবধরে সাদা আর খানিকটা হলদেটে আভার ফুলকপি। মাঝারি গড়ন নিয়ে বেড়ে ওঠা বাঁধাকপি। এসেছে সীম আর দুধ সাদা মুলা। পালং শাকের পাশাপাশি কদর করে নিয়েছে মুলা শাকও। আছে বরবটি ধনে পাতা আর স্বাদের জলপাই। লালটুক টুকে টমেটো আর গাজরের কিছু দেখা মিললেও এসব গত বছরের হিমাগারে রাখা। এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রকৃতিতে শীত না এলেও এসেছে শীতকালীন সবজি। নামে শীতকালীন সবজি দামে বেজায় গরম। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি পঞ্চাশ ষাট টাকায়। সীম একশো ঢেড়স চল্লিশ, পাতাকপি ত্রিশ আর মুলাও মুল্যহীন নয় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ত্রিশ টাকা দরে। ধনে পাতার কেজি আড়াইশো আর কাঁচা মরিচের ঝাজের দাম কেজি প্রতি একশো ত্রিশ টাকা। বরবটি সজনে ডাটা করল্লার দামও মোটে কম নয়। পঞ্চাশ থেকে একশো টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। সব ধরনের শাকের দাম পঁচিশ ত্রিশ টাকা কেজির কম নয়। শাক সবজির দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলেন আগাম বলে শীতকালীন এসব সবজির দাম একটু বেশী হয়। মওসুমের প্রথম সবজির সাদ নেবার জন্য দাম একটু বেশী চুকাতে হয়। শহুরে খুচরো বাজারে এসব সদ্য ওঠা শাক সবজির দাম বেশী হলেও মাঠ পর্যায়ের চিত্র ভিন্ন। পাইকাড় ও মধ্যস্বত্ত ভোগী ফড়িয়ারা অনেক কম দাম দিয়ে মাঠ হাট থেকে এসব কিনছে। বাজারে এসে দাম হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুন তিনগুনেরও বেশী।
বাজার পর্যবেক্ষন করে জানা যায়, শীতের সবজির দাম কবে নাগাদ স্বাভাবিক হতে পারে এমন কথা কেউ বলতে পারেনি। তবে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম সরবরাহ বেশী হলে কিছুটা হলেও দাম কমবে। তবে তা কি পরিমাণ কমবে তা বলা মুশকিল। কেননা ইতোমধ্যে যে হারে সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। তার সাথে বেড়েছে সরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন। সরকারি সুবিধা ভোগীদের কারণেই হয়তো বাজার মুল্য খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া একবার কোনো পন্যের দাম বেড়ে গেলে এর জোর পোহাতে হয় নি¤œবিত্ত ও সাধারণ আয়ের মানুষকে। বাড়তি বাজার মুল্যে তাদের¦ই কষ্ট হচ্ছে। কেননা এসব শ্রেণীর আয় বাড়ে না কখনো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন