শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী তিন উপজেলার সংযোগস্থল নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের মালিঝি নদীর শাখা কলস নদী। তিন উপজেলার সীমানা হওয়ায় কারোর দৃষ্টি নেই এই এলাকার দিকে। নালিতাবাড়ী উপজেলার কলস নদীর ওপর ব্রীজ না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। উৎপাদিত কৃষি পণ্যও আনা নেয়া করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ না থাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে আসছে এই এলাকার মানুষ। সরজমিনে দেখা যায়, নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কলসপাড় গ্রামে অবস্থিত পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলসপাড নঈমি দাখিল মাদরাসা, মোহাম্মাদিয়া কওমি মাদরাসা ও ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অবস্থিত। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন বাঁশের সাকোতে। স্থানীয়দের দাবি, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে বদলে যাবে এই এলাকার জীবনযাত্রা। উন্নতি হবে ব্যবসা বাণিজ্যের। স্থানীয়বাসিন্দা মো. আবু সামা বলেন, এই ব্রীজ হলে আমাদের দুই উপজেলার মানুষের সবদিক থেকে সুবিধা হবে। এই ব্রীজের দুই পাশের্^ই পাকা রাস্তা আছে। মাঝখানে এই ব্রীজের জন্য অল্পকিছু কাঁচা রাস্তা। এই ব্রীজটি হলে আমাদের বাজারঘাট করতে সুবিধা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের সময় হলে চেয়ারম্যান মেম্বারা ব্রীজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পরে আর কোন খবর থাকে না জনপ্রতিনিধিদের। তাই প্রতি বছর এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয়। এদিকে, শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদ জানান, বিষয়টি কেউ আমাদের নজরে আনেননি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতরকে নিদের্শনা প্রদান করা হবে।
কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আমাদের এই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগের কারণ কলস নদী। নদীর ওপারের যে লোকগুলো আছে। তাদের সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। এ নদীতে একটি ব্রিজ জরুরি দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন