রেবা রহমান, যশোর থেকে
স্বাধীনতার পর বহুবার আশ্বাস মিলেছে, সরেজমিন তদন্ত করে দেয়া হয়েছে এবারই ব্রিজ হবে কিন্তু আজো বাস্তবে কোন ফল দেখতে পাননি ভুক্তভোগীরা। বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হওয়ার এবার যশোরের মণিরামপুরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে। উপজেলা লাউড়ী গ্রামের ঝাউতলা গজশ্রী খালের উপর দিয়ে বাঁশের সাঁকোতেই ভরসা কয়েক হাজার মানুষের। আগামী অর্থ বছরে বৃহত্তর খুলনা প্রজেক্টের আওতায় ব্রিজ নির্মাণ করতে ইতোমধ্যে মাপ-জোক সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় নাগোরঘোপ স্কুলের শিক্ষক (অব.) ও ভুক্তোভোগী রমেশ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর ধরে এলাকার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো দিয়ে পার হলেও আজও এলাকার ভুক্তোভোগীদের আশ্বাসেই থাকতে হচ্ছে। তবে শুনেছি আগামী অর্থ বছরে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে। এটি হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। স্থানীয় কৃষক প্রশান্ত কুমার বিট আক্ষেপ করে বলেন, ‘ক্ষ্যাতের ফসল বিক্রির করতি মণিরামপুর ও কেশবপুরের হাটে নিতি হলি ম্যালা (কয়েক কিলোমিটার) ঘুরতি হয়, এতি কইরে গাড়ি ভাড়া ম্যালা (বেশি) পইড়ে যায় বইলে বেচে (বিক্রি কইরে) লাভ হয় না’। স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার পালিত ক্ষোভের সুরে বলেন, ভোট আসলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণে আশ্বাস দিলেও ভোটের পর আর কেউ মনে করেন না। নাগোরঘোপ স্কুলের ১০ম শ্রেনিতে পড়–য়া রিয়া বলেন, তার মতো অনেকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যায়, এটি নির্মাণ হলে পারাপারে ঝুঁকি থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন