বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, প্রতিবেশী দুটি দেশ, ভারত ও বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে দেশ দুটির পরস্পরের পরিপূরক হওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সুবিধার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে প্রতিবেশী দেশ দুটির ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করেন। গত শনিবার ঢাকার গুলশানে বিজিএমইএ’র পিআর অফিসে সিনথেটিক অ্যান্ড রেয়ন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (এসআরটিইপিসি) এর সাবেক চেয়ারম্যান নারিয়ান আগরওয়াল এর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম ও সহ-সভাপতি মিরান আলী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক ব্যবসার সুযোগ চিহ্নিতকরণ এবং সুযোগগুলো সদ্ব্যবহার করার জন্য বিজিএমইএ এবং এসআরটিইপিসি মধ্যকার সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের পোশাক ও বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে উভয় সংগঠন কিভাবে একসাথে কাজ করতে পারে, সে বিষয় নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। অন্যদিকে, ভারতের শক্তিশালী বস্ত্র শিল্প রয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স, ডাইস, কেমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করে। আবার, ভারত বাংলাদেশের পোশাকের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল রফতানি বাজারও বটে। বাংলাদেশ পণ্যে বৈচিত্র্যকরণÑ কটন থেকে নন-কটন পণ্যে মনোনিবেশ করছে এবং ভারতের শক্তিশালী টেক্সটাইল শিল্পে ম্যান-মেইড ফাইবার উৎপাদিত হয়, যেটি কিনা বাংলাদেশের পোশাকখাতের চাহিদা মেটাতে পারে। তাই উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক হতে পারে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে।
এসআরটিইপিসি এর সাবেক চেয়ারম্যান ভারতের সুরাটে আগামী ২০ থেকে ২২ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন প্রদর্শনী ‘সোর্স ইন্ডিয়া ২০২২’-এ বাংলাদেশী পোশাক রফতানিকারকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিজিএমইএর সহযোগিতা চেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন