দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ হাজার ২৭২ কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে হেলিকপ্টার এবং হোভারক্রাফটও ক্রয় করা হবে । বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে উন্নত মানের লেডার (মই) ক্রয় করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে। ডা. এনামুর রহমান আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে "জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২" উপলক্ষে আয়োজিত ভূমিকম্প এবং অগ্নিকান্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সিপিপিসহ আমাদের প্রায় ৪২ লক্ষ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে তারা জানমাল রক্ষায় এগিয়ে আসেন, এতে দুর্যোগ মোকাবেলা আমাদের জন্য অনেক সহজ হয় এবং দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়। আর এজন্যই সারাবিশ্বে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ আজ অনুকরণীয় মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন, পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা সহজ হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকান্ড হলেও বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ সেখানে অগ্নিকান্ডের এক মাস পূর্বে সচেতনতামূলক মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। আজকের এ মহড়ার মধ্য দিয়ে এই হাসপাতালে কর্মরতদের সচেতন করা হলো।
তিনি বলেন, আশা করি, ভবিষ্যতে এখানে কোনো দুর্যোগ হলে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তা মোকাবেলায় তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবেন ।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষজনকে অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করার লক্ষ্যে সারাদেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন