শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সমঝোতা স্মারকের প্রত্যাশা

আমিরাতের শ্রমবাজারে ভিজিট-ওয়ার্ক ভিসায় কর্মী যাচ্ছে পিসিআর টেস্ট লাগবে না, সর্ম্পক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে : রাষ্ট্রদূত আবু জাফর

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

করোনায় বিধ্বস্ত বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে। করোনার মহামারির থাবায় বিশ্বের দেশে দেশে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছিল। এর আগে নানা কারণে ২০১২ সালের আগস্ট মাসে মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের সুসর্ম্পক বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সফরকালে দেশটির আমিরের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ থেকে বেশি বেশি কর্মী নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। আমিরাতের বিভিন্ন শহরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে আমিরাত থেকে প্রবাসীরা ২৫০৭ দশমিক ৬৪ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।

তেলসমৃদ্ধ দেশ মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মহানুভবতায় ভাগ্য খুলছে বাংলাদেশি ট্যুরিস্টদের। করোনা মহামারি কিছুটা শিথিল হওয়ায় দেশটির সরকার ভিজিট ভিসায় আগত বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর দেশটির কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে ভিজিট ভিসার ওপর সত্যায়ন করে দিচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের নিয়োগকারীরা বাংলাদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক ভিসা দিচ্ছে।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর গতকাল সোমবার ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেন, ভ্রাতৃ-প্রতীম আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সর্ম্পক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার সব সময়ই চালু ছিল। সাধারণ শ্রমিকদের জন্য কিছু দিন নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। তিনি বলেন, ভিজিট ভিসাসহ দুবাই আবুধাবি শারজাহ প্রদেমে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা চালু হয়েছে। দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোক্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফরে উভয় দেশের মধ্যে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত কোনো চুক্তি হবার সম্ভাবনা আছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় সফরে ৫ দিনের জন্য গতকাল সোমবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এ সফর। সফরে আমিরাতে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হতে পারে। সফরে আমিরাতের শ্রম বাজার জনবল পাঠানো, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, সরাসরি শিপিং লাইন চালু, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনে টেকসই উন্নয়ন, আইসিটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেবে ঢাকা।

বিএমইটি সূত্র জানায়, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ লাখ ১ হাজার ৮২৯ বাংলাদেশি কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৯৫ জন মহিলা গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে। বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।

প্রবাসী মন্ত্রণালয় সত্যায়িত ভিজিট ভিসার কর্মীদের বৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করছে। প্রতিদিন শত শত কর্মী ভিজিট ভিসায় আমিরাতে গিয়ে স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু চড়া দামে বিমানের দুবাইয়ের ওয়ানওয়ে টিকিট কিনতে বিদেশগামী কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। দুবাইগামী কর্মীরা বিমানের ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। দেশটির বেসরকারি নিয়োগকারীরাও বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। গতকাল দুবাই থেকে প্রবাসী সিআইপি মাহবুব আলম মানিক ইনকিলাবকে এতথ্য জানান। এক প্রশ্নের জবাবে সিআইপি মাহবুব বলেন, আমিরাম সরকার প্রবাসী বান্ধব সরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রবাসীদের মাঝে সাজ সাজ উৎসব বিরাজ করছে। তিনি বলেন, আমিরাতের ৭ প্রদেশের নিয়োগকারীদের পর্যটন খাত ব্যবসায়ী খাতসহ সকল খাতেই প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের কদর সবচেয়ে বেশি। সিআইপি মাহবুব আলম মানিক প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলে দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশিদের বেতন ভাতা, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিচক্ষণতায় আমিরাত সরকারের সাথে বাংলাদেশের সর্ম্পক দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন, দুবাইসহ শারজায়ও বাংলাদেশিদের ওয়ার্ক ভিসা চালু হয়েছে। আবুধাবির আজমান থেকে রাতে প্রবাসী ইমরান মাহমুদ ইনকিলাবকে জানান, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিরা রয়েছে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সকল প্রদেশে ওয়ার্ক ভিসা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দুবাইগামী কর্মীদের ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গতকাল ঢাকা দুবাই ওয়ানওয়ে একটি টিকিট ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে বলেও তিনি উরেøখ করেন। এতে অভিবাসন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।এছাড়া প্রবাসীদের কোনো সমস্যা নিয়ে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলে কর্মচারী কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ উঠছে।

এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি করায় টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। বিভিন্ন রুটের ওয়ানওয়ে টিকিট ৮০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালু এবং নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিয়োগকারী কোম্পানিগুলো ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে। আবুধাবিস্থ ইলেক্ট্রোল্যাক্স মেইনটেন্যান্স কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ৩৫০ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য নয়া পল্টনস্থ মিড লাইন ইন্টারন্যাশনালকে চাহিদাপত্র দিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়িত এসব কর্মী আমিরাতের শ্রমআইন অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবেন। মিড লাইন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ফজলুল মতিন তৌহিদ ইনকিলাবকে জানান, আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। আমিরাতের বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোর কাছে দিন দিন কদর বাড়ছে বাংলাদেশিদের। করোনা মহামারির মাঝেও কর্মীর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভিজিট ভিসায় কর্মী নিয়ে ওয়ার্ক ভিসা স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। ভিজিট ভিসায় কর্মী নিয়ে ওয়ার্ক ভিসা বের করে দিতে না পারলে তাদের বিমানভাড়া দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার দেয়ায় দূতাবাস সত্যায়ন দিচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন যাবত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আগত বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির বা পার্টনার ভিসা লাগানোর সুযোগ থাকায় কর্মসংস্থানের খোঁজে হাজার হাজার বাংলাদেশি যাচ্ছেন আমিরাতে। অপরদিকে কর্মী সঙ্কটে শোচনীয় পরিস্থিতিতে থাকা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানির মালিকরাও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগে ঝুঁকছেন বাংলাদেশিদের দিকে। এরই মধ্যে ভিজিট ভিসায় দেশটিতে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিয়োগ ভিসাও লাগিয়েছেন অনেকে। এখন ভিজিট ভিসায় আমিরাতে যাওয়া বাংলাদেশিদের নিয়োগ ভিসা লাগানোর সুযোগ থাকায় দেশীয় কর্মীদের নিয়োগে ঝুঁকছেন তারা। তাই দেশীয় কর্মীদের নিয়োগ ভিসা লাগাতে পেরে কিছুটা স্বস্তির পাশাপাশি মন্দের ভালো হিসেবেও দেখছেন তারা।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান গতকাল সোমবার ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে আমিরাত সরকারের মহানুভবতায় ভিজিট ভিসাসহ ওয়ার্ক ভিসা চালু হওয়ায় দেশটির সরকার প্রধানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, দেশটিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে উভয় দেশের মাঝে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপরগুরুত্বারোপ করেন। এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আগের মতো শ্রমবাজার বন্ধ না হবার আশঙ্কা থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে, ওমিক্রনের সংক্রমণ কমতে থাকায় বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য করোনা শনাক্তের আরটি পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। করোনা প্রতিরোধকারী টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ দেওয়া যাত্রীরাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। গত রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে দুবাই।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেওয়া এক চিঠিতে দুবাইয়ের সিভিল এভিয়েশন জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোনো টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া বাংলাদেশি যাত্রীর দুবাই রওনা হওয়ার আগে করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে না। তাদের টিকা সনদ থাকলেই চলবে। তবে যাদের টিকা সনদ নেই, তারা যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটি পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।

দুবাই জানায়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রত্যেক যাত্রীকে দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছে বিনামূল্যে আরেকবার করোনা টেস্ট করতে হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হবে নমুনা নেওয়ার পরদিন বিকেলে (হোটেলে কিংবা মোবাইল নম্বরে)। রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত যাত্রীকে দুবাইয়ের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি হোটেল থেকে বের হতে পারবেন। কোনো যাত্রীর যদি করোনা পজিটিভ আসে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে যাত্রা শুরুর আগে তাদের স্মার্টফোনে ‘কোভিড ১৯ ডিএক্সবি’ অ্যাপ ডাউনলোড করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। যাত্রার সময় পূরণ করা ফরম প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে। যাত্রীদের হেলথ ইন্স্যুরেন্স নিতে হবে। এছাড়া ১০ বছরের নিচের শিশু এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা আরটি পিসিআর টেস্ট ছাড়াই দুবাই প্রবেশ করতে পারবেন।

দুবাই আরও জানায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব বৈধ গৃহকর্মী দুবাই যাবেন, তাদের সঙ্গে তাদের স্পন্সর বা স্পন্সরের মনোনীত ব্যক্তিদের ফ্লাইটে থাকতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন