শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

যুবলীগ সভাপতির হাতের কবজি কেটে নিলো প্রতিপক্ষরা

কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১০:৩১ এএম

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হযরত আলীর হাতের কবজি কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। একই সময় আরো তিন জনকে কুপিয়ে জখম করেছে তারা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ৫ নং শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হযরত আলী। সে বড় শিমলা গ্রামের আমজাল আলীর ছেলে। একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে জমির হোসেন ও জহির হোসেন এবং বাদু মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে গ্রামের স্কুল মাঠের কোনায় রগের উপর বসে ছিল হযরত আলী। এ সময় একই গ্রামের আসাদুল ইসলাম, হোসেল হোসেন ও ফজের সহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রান বাঁচাতে হযরত স্কুল মাঠের পাশে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে হযরত আলীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে জামির, জহির ও জাকিরকেও কুপিয়ে যখম করে তারা।এ সময় কুপিয়ে হযরত আলীর ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে ও দুই পায়ে উপর্যুপরি কুপায়ে ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়রা তাদেও উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থার অবনতি দেখে ৩ জনকে সাথে সাথে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহত জমির হোসেন জানান, হযরতকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের উপর হামলা চালায় তারা। হযরতের ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে দুই পায়ের অবস্থাও খারাপ।

৫নং শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, হামলা কারিরা সবাই গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সর্মথক। আর হযরত আলী ছিল বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আজগর আলী জানান, আহত তিন জনকে যশোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে হযরতের অবস্থা গুরুতর। তার ডান হাতের কব্জি কেটে পড়ে গেছে।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত মতলেবুর রহমান জানান, হামলার কথা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন