শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

অধিকার সংক্রান্ত মান যাচাইয়ে দেশে আসছে ইইউ মিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৯ এএম

শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়ন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ মানবাধিকার রক্ষা ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করতে বাংলাদেশে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) মিশন। বিশেষ করে দেশের শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর কর্ম পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অবস্থা দেখবে তারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইইউ দূতাবাসের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে দেশের শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর কর্ম পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অবস্থা দেখবে তারা। নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতিও মূল্যায়ন করবে দলটি।
ইইউ’র ডিরেক্টরেট-জেনারেল ফর এমপ্লয়মেন্ট, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইনক্লুশন এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক জর্ডি কুরেল গোটর, ডিরেক্টরেট-জেনারেল ফর ট্রেড এবং ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মিশনে নেতৃত্ব দেবেন। ১৭ মার্চ তারা দেশ ছাড়বেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে অস্ত্রবাদে সকল পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইইউ ঘোষিত চলমান জিএসপি স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরের বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন জিএসপি স্কিম চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য।
নতুন স্কিমে বাংলাদেশের ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য ৯ দফা একশন প্লান দিয়েছে ইইউ। ইইউ এর চাহিদা অনুযায়ী এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে গতবছর টাইমবাউন্ড রোডম্যাপ জমা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
ইইউ’র একশন প্লান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শ্রম আইন, শ্রম বিধিমালা সংশোধনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। জিএসপিহাব.ইইউ এর মতে, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার- এ তিনটি ইবিএ সুবিধাভোগীর সাথে তার সম্পৃক্ততা জোরদার করেছে ইইউ। এর অংশ মৌলিক মানবাধিকার এবং শ্রমের মানের প্রশ্নে যে ঘাটতি আছে তা মোকাবেলা করার জন্য একটি পদ্ধতিগত পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে।
জিএসপি নীতিমালার ১৫টি মূল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশে মানব ও শ্রম অধিকারের প্রশ্নে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন ইইউ। এর মধ্যে রয়েছে সুশীল সমাজের অভিনেতাদের স্থান সংকুচিত হওয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, গুম এবং নির্যাতন, সেইসঙ্গে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং সহিংসতা।
জিএসপি হাব বলেছে, ইইউ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার ও সুশাসনের প্রশ্নে সাব-গ্রুপের মানবাধিকার সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করে যা ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তির অংশ।বাংলাদেশ সরকারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের জন্য পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে এবং নির্যাতন, সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং বলপূর্বক গুমের মামলাগুলো আরও ভালভাবে তদন্ত করতে বলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন