নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম গত কয়েক বছরে যৎসামান্য বেড়েছে। এই স্তরের সিগারেটের দাম স্বল্প হারে বাড়ানো প্রভাব পড়ছে সামগ্রীক অর্থনীতিতে। সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ প্রত্যাশিত মাত্রায় হচ্ছে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সব থেকে বড় খাত হলো সিগারেট। বাংলাদেশ সরকারের মোট যা রাজস্ব আয় হয়, তার প্রায় ১১ শতাংশ আসে সিগারেট খাত থেকে। তবে বরাবরই উচ্চস্তরের সিগোরেটের দাম ও শুল্ক হার বাড়ানো হয় বেশি, এর তুলনায় নিম্নস্তরের সিগারেট দাম বাড়ে সামান্য।
সিগারেট খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ নিম্নস্তরের সিগারেটের আওতায় আছে। অথচ গেল ৩ অর্থবছরে এই স্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ টাকা। (২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭ টাকা থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩৯ টাকা হয়েছে। বছরের পর বছর রাজস্ব প্রবৃদ্ধি করতে হলে এই স্তরের মূল্য বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই, বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সিগারেট খাত থেকে সরকার রাজস্ব আহরণ করে প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা যা চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে হতে যাচ্ছে ২৯ হাজার ৭০০ কোটি, টাকা অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হতে যাচ্ছে মাত্র চার শতাংশ।
বছরের পর বছর ধরে সরকার সিগারেট খাত থেকে গড়ে ১০-১৫ শতাশং হারে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি পেয়ে আসছে। নিম্ন ও মধ্যম স্তররের সিগারেটের পুরো বাজারের ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে। এই স্তরে দাম ও শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে না বাড়ানোয় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। বর্তমানে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তদূর্ধ্ব। এই স্তরের দাম আরও ৩-৬ টাকা বাড়ানো হলে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হবে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন