যুদ্ধ, মহামারিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো স্বর্ণ মজুদ বাড়িয়েছে। তার প্রভাবেই বাড়ছে স্বর্ণের দাম, বলছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতা কমে গেছে স্বর্ণের বাজারে। এই ধারাবাহিকতায় গত ১২ মাসে ১৩ বার বেড়েছে স্বর্ণের দাম। শুধু চলতি মাসেই বেড়েছে দুই বার।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি-বাজুস স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে দেশের বাজারের জন্য। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৯ মার্চ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ছিল ৬৯ হাজার ১শ’ ৯ টাকা। যা এক বছর পর দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৩শ’ ১৫ টাকায়। অর্থ্যাৎ গত এক বছরে পণ্যটির দাম বেড়েছে ভরিতে ১০ হাজার টাকার বেশি।
কেন স্বর্ণের বাজার এতটা অস্থিতিশীল এমন প্রশ্নে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো স্বর্ণের মজুদ বাড়িয়েছে। তার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পণ্যটির দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ তাদের অর্থনীতিকে ধরে রাখার জন্য স্বর্ণ মজুত করা শুরু করেছে। যাতে করে তারা যেকোন সময় যেকোন কারেন্সিতে তা রুপান্তরিত করতে পারে। করোনার ফলে কখন কোন দেশের কারেন্সি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট কি অবস্থায় হয় এসব অনিশ্চয়তার কারণেই স্বর্ণের মজুদ বাড়ছে ফলে দামও বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও বাড়ানো হয়েছে সব ধরণের স্বর্ণের দাম। বাজুস মূল্য নির্ধারণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, দাম নির্ধারণে আমাদের একটা কমিটি আছে। তারা দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাজার দেখে সবকিছু সমন্বয় করে একটা দাম নির্ধারণ করে।
প্রতি মাসেই দাম বৃদ্ধিতে অস্থির স্বর্ণের বাজার। তাতে ক্রেতা কমেছে বাজারে। তাই ব্যবসা মন্দার কথা বলছেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন আগামীতে কমবে না বরং আরো বাড়বে স্বর্ণের দাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন