কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশীদার। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক্স এবং অন্যান্য খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে, বেশকিছু কোম্পানি কাজ করছে। এ বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কোরিয়ায় রফতানি হচ্ছে উল্লেখ করে বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ রফতানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ কোরিয়ায় রফতানি বাড়াতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি থাকা প্রয়োজন। এতে করে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতে পারে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক এবং বাংলাদেশস্থ কোরিয়ান দূতাবাসের ফাষ্ট সেক্রেটারি ইয়াংমিন সিও উপস্থিত ছিলেন।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন বলেন, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাথে কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কোরিয়ার বেশ কিছু কোম্পানি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, ইলেক্ট্রনিক পণ্যসহ বেশকিছু সেক্টরে কাজ করছে। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। কোরিয়া বাংলাদেশে গাড়ি তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বিশ^ব্যাপী কোরিয়া বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। কোরিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৩৯৮ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কোরিয়ায় রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ১২৬ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন