নিরাপদ নেভিগেশন সুবিধা এবং বিদেশী জাহাজের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য মোংলা বন্দরে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) চালু হয়েছে। বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ চৌধুরী এই নিরাপত্তা পদ্ধতি উদ্বোধন করেন। এসময়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোঃ মুসা, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, সৈয়দ রবিউল আলম, পরিচালক প্রশাসন মোঃ শাহীনুর আলম, হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীনসহ বন্দরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
“ভিটিএমআইএস” নিরাপত্তা সিস্টেম উদ্বোধন শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলমান প্রকল্প ও সরকারের মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে অচিরেই মোংলা বন্দর নৌ-বানিজ্যের নেতৃত্ব দেবে।”
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোঃ মুসা বলেন, পদ্মা সেতু, খুলনা-মোংলা রেললাইন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও খানজাহান আলী বিমান বন্দর চালু হলেই মোংলা বন্দরে আমদান-রপ্তানি আরও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। নিরাপদ নেভিগেশন সুবিধা এবং বিদেশী জাহাজের দীর্ঘ চ্যানেলে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অতিতে একাধিকবার গবেষণা করা হয়েছে। নিরাপদ ও নির্বিঘেœ জাহাজ চলাচলের জন্য ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম “ভিটিএমআইএস” শিরোনামে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির কাজ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবাড়িয়া এ্যাংকরেজে ১০ মিটারের বেশি ড্রাফটযুক্ত জাহাজগুলি পরিচালনা করছে। গত কয়েক বছরে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চট্রগ্রাম বন্দরে প্রচন্ড যানজটের কারণে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু, খুলনা-মোংলা রেললাইন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও খানজাহান আলী বিমান বন্দর চালু হলেই মোংলা বন্দরে আমদান-রপ্তানি আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন