স্পোর্টস ডেস্ক : বোর্ডের সঙ্গে দ্ব›েদ্বর কারণে এইতো কিছুদিন আগে ভারত থেকে সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। সেই আক্রোশে আর কখনও ক্যারিবীয়দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ তো করবেই না, পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সেই রীতি মেনে এবার খোদ ভারতের কাছেই ক্ষতিপূরণের কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড! কারণও ঐ একÑ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বর্জনে আর্থিক ক্ষতি।
২০১৪ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছিল। সে চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫-২০২৩ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ছয়টি সিরিজ খেলার কথা। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মুহূর্তে ক্রিকেটই খেলতে রাজি নয় ভারত। ভারতের তরফে কারণটা রাজনৈতিক। সীমান্ত সমস্যা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে তাদের মনোভাব নেতিবাচক। অন্য খেলাতে এতটা না হলেও ক্রিকেটে এ ব্যাপারে মোটামুটি শক্ত অবস্থানে ভারত। তবে পাকিস্তানের এখন এক দাবি-হয় ক্রিকেট খেলো, নয়তো দাও ক্ষতিপূরণ।
গত বছরই পাকিস্তানের সঙ্গে একটি অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেনি ভারত। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলার প্রশ্ন নেই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। একপর্যায়ে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলার। কিন্তু ভারত রাজি হয়নি। হোম সিরিজ হওয়ায় এতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিপুল আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গটা উঠেছিল তখনই। পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বছরখানেক পর আবারও তুললেন সেই প্রসঙ্গ। দাবি জানালেন ক্ষতিপূরণের। শেঠির কথা খুব পরিষ্কার, ‘হয় ভারত আমাদের সঙ্গে খেলুক অথবা আমাদের আর্থিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিক।’ এ ব্যাপারে আইসিসিরও দ্বারস্থ হয়েছে পিসিবি, ‘আমরা আইসিসির কাছেও আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছি। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সিরিজ খেলার অঙ্গীকার করেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে।’
কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এক রকম যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার কথা বলেছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাংসদ ঠাকুর এর কারণ হিসেবে সরকারি সিদ্ধান্ত ও ভারতের সাধারণ মানুষের জাতীয়তাবাদী অনুভূতির কথা বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে এক ঘরে করার ব্যাপারে ভারত সরকারের নীতি ও দেশের মানুষের অনুভূতি মাথায় রেখে আমরা আইসিসিকে যেকোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রæপে না রাখার অনুরোধ করছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন