স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী পৌর নাগরিকদের উপর সহস্রগুণ কর বৃদ্ধির চাপা ক্ষোভ এখন মাঠে গড়াতে শুরু করেছে। প্রকাশ হতে শুরু করেছে প্রতিবাদের ভাষায়। অস্বাভাবিক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল (বুধবার) নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী মহল্লার নাগরিকরা উপজেলা সংলগ্ন মাঠে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। বিকেল ৪টায় আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সিরাজ মিয়া। এড. শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল মোহাম্মদ মানিক, জহিরুল ইসলাম ইঞ্জিনিয়ার, আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, হাজী সামসুউদ্দিন, এড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান খোকন, আবুল খায়ের ভূইয়া এবং নরসিংদী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক লিটন। বক্তাগণ বলেন, পৌর নাগরিকদের উপর হঠাৎ করে সহস্রগুণ কর আরোপের পিছনে কোন আইন ও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। এ অস্বাভাবিক কর বৃদ্ধির পিছনে কোন নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাও নেই। আছে শুধু একটি অতি বিলাসী মানসিকতা। পৌরসভা একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু পৌর নাগরিকদের উপর কর আরোপ করা হয়েছে মধ্যযুগীয় স্বেচ্ছাচারী কায়দায়। যা পৌরসভার নাগরিকরা তাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই মেনে নিতে পারছে না। সহস্রগুণ ট্যাক্স বৃদ্ধি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এমন নজিরবিহীন ঘটনা কোথাও শুনা যায়নি। ৫ থেকে ১০ ভাগ ট্যাক্স বৃদ্ধি মেনে নেয়া যেতে পারে। এর উপরে কোন ট্যাক্স মেনে নেয়া হবে না। তারা অবিলম্বে আরোপিত কর যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি জানান। সভায় উপস্থিত বক্তাদের বক্তৃতায় প্রকাশিত ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক বলেন, ট্যাক্স বৃদ্ধি করলে স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকগণ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। সমাধানের পথও রয়েছে। তিনি বলেন, যারা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা যথাযথ পদ্ধতিতে আপিল করুন। আপিলের মাধ্যমে করের মাত্রা কমিয়ে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন