শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বোলার রিয়াদে হাসল খুলনা

প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৮ পিএম, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

খুলনা টাইটান্স ঃ ১৩৩/৮ (২০.০ ওভারে)
রাজশাহী কিংস ঃ ১৩০/১০ (২০.০ ওভারে)
ফল ঃ খুলনা টাইটান্স ৩ রানে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : ১৩৪ তাড়া করে ১৯তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিল রাজশাহী কিংস। কিন্তু লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারে এসেই সব কিছু হয়ে গেল ওলট পালট। অফ স্পিনার মাহামুদুল্লাহ’র ওই ওভারে স্বপ্নভঙ্গ হলো রাজশাহী কিংসের। ৩ রানের অপ্রত্যাশিত জয়ে আসর শুরু করল খুলনা টাইটান্স।
শেষ ৬ বলে ৭, হাতে ৩ উইকেট। প্রতিপক্ষ রাজশাহী কিংস যখন এতোটা সহজ টার্গেটের মুখে দাঁড়িয়ে, ডাগ আউটে তাদের ক্রিকেটার, কর্মকর্তাদের হাসিমুখগুলো দূর থেকে যাচ্ছে দেখা, তখন আশা ছেড়ে দেয়ারই কথা খুলনা টাইটান্সের। দুই পেস বোলার শফিউল, জুনায়েদ এবং বাঁ হাতি স্পিনার আসগরের বোলিং কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ নিজেই নিয়েছিলেন ঝুঁকি! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অফ স্পিন তেমন একটা কাজে লাগাচ্ছে না টীম ম্যানেজমেন্টÑ এখন পরিচয় শুধুই মিডল অর্ডার। নিজের অল রাউন্ড পরিচয়টা মেলে ধরার চেষ্টা করতে শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। প্রথম ২ বলে একটি করে রান খরচা, তৃতীয় বলটি ওয়াইডÑ পরের ডেলিভারীগুলোতে নিজে হেসেছেন, হাসিয়েছেন খুলনা টাইটান্সকে। লং অফে আবুল হাসান রাজু ক্যাচ দিয়ে আসায় ম্যাচে ফিরতে পেরেছে খুলনা, লো বাউন্সি পরের ডেলিভারীতে মোহাম্মদ সামীকে করেছেন বোল্ড, ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে শেষ বলে নাজমুল অপু স্ট্যাম্পড!
লড়াইটা হয়েছে আবুল হাসান রাজুর পেস বনাম মাহামুদুল্লাহ’র অফ স্পিন! টি-২০ ক্যারিয়ারে ইতোপূর্বে কোন ম্যাচে ৩ উইকেটের বেশি উইকেট ছিল না তার। নিজের সেরা পারফরমেন্স ছিল ৩/২০। দূর্দান্ত শেষ স্পেলে (২-০-১৭-৪) বিপিএল টি-২০তে সেই রাজুই কি না দেখা পেলেন ৫ উইকেট! বিপিএল’র প্রথম তিনটি আসরে ৫ উইকেটের ইনিংস ছিল ৪ জনের। ২০১২ সালে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক ইনিংসে দূরন্ত রাজশাহীর পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ সামীকে (৫/৬) দিয়ে শুরু, ২০১৫ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বরিশাল বুলসের ক্যারিবিয়ান পেসার কেভন কুপারের (৫/১৫), সিলেট সুপার স্টারর্সের বিপক্ষে সে বছর বরিশাল বুলস পেসার আল আমিন (৫/৩৬) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের তিসারা পেরেরার (৫/২৬) পাশে এবার জায়গা পেলেন রাজশাহী কিংসের আবুল হাসান রাজু (৫/২৮)। তবে রাজশাহী কিংসের এই পেস বোলারের এমন পারফরমেন্স ম্লান হয়েছে মাহামুদুল্লাহ’র শেষ ওভারে (৩/৩)!
অথচ এই ম্যাচে ওপেনিং করতে এসে কি দুর্দান্ত ইনিংসই না উপহার দিয়েছেন রাজশাহী কিংসের মুমিনুল। ইনিংসের প্রথম বলে শফিউলকে পয়েন্ট দিয়ে দারুণ বাউন্ডারি শটে শুরু। টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ৫২তম ম্যাচে ৪র্থ ফিফটিটি উপহার দিয়েছেন মুমিনুল (৫৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৪)। ৫ম জুটিতে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামীর সঙ্গে ৫২ রানের পার্টনারশিপে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুল। তবে শফিউলকে ১৭তম ওভারে ফ্লিক করতে যেয়ে স্যামী বোল্ড আউটে (২৩ বলে ৩১) ফিরে যাওয়ায় এবং স্কুপ শট নিতে যেয়ে মুমিনুল উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আসায় ছন্দপতন ঘটেছে রাজশাহী কিংসের। শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা মাত্র ১৯ রানে! পাকিস্তানী পেসার জুনায়েদ খানের শ্লোয়ার শুরুতে ধাক্কা দিয়েছে রাজশাহীকে। তবে ওই পেস বোলারের সাফল্য (৪/২৩) ছাড়িয়ে শেষ ওভার কারিশমায় খুলনা টাইটান্সের ম্যাচ উইনার মাহামুদুল্লাহ(৩/৬)!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Shamim ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ৯:৫৩ এএম says : 0
Tar jonno gotobar Barisal runner up hoyese
Total Reply(0)
মিলন ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১:৪৭ পিএম says : 0
মাশরাফির পরে বিপিএলের বেস্ট অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ
Total Reply(0)
সেলিম ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১:৪৯ পিএম says : 0
আমার মনে হচ্ছে, এবার ফাইনালে যাবে খুলনা ও ঢাকা
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন