অনুবাদ: শহিদুল ইসলাম নিরব
তুষার পড়ছে
আসছে মৃতের মিছিল
ক্রমস বাড়ছে গতি
যেন তারা এক একটি ট্রাফিক সিগন্যাল
আমরা তখন সবে মাত্র আগুয়ান--
শহরের দিকে যাচ্ছি।
দীর্ঘ ছায়াদের দেশে
কতো লোকের চোখ চেয়ে চেয়ে আছে।
সেতু এখন নিজেকেই গড়ে চলে, ধীরে
ঐ অনন্তের দিকে, অনন্তের পথে, অসীমে।
শোক
প্রথমে দরজা খুলতেই
রোদ ঝলমল সুবিশাল এক ঘর
বাহিরে দুরন্ত ভারী নি:সঙ্গ গাড়ি
চীনামাটিরর বাসন কাঁপিয়ে যায়।
এর পর আরেক দরজা আমি খুলি
বন্ধুগণ! হালকা অন্ধকার
পান করে তোমরা হয়ে গেছো অন্ধকার।
তৃতীয় দরজা খুলতেই
চোখে দেখি, একটি সংকীর্ণ হোটেলকক্ষ।
একটি গলির মুখ
একটি ল্যাম্পপোস্ট আসফেন্টে আলো ছড়ায়।
যা জ্ঞান, রূপ-এর ধাতুমল।
মধ্যশীত
কী নীলাভ আলোর মায়া!
আমার পোশাকে ছড়ায়ে যায় রোশনাই।
এখন মধ্যশীত
সফেদ বরফের তাম্বুরা বেজে যায়
বুজে আসে আমার দু›চোখ।
যেন পৃথিবীর রয়েছে নরম নীরব ফাটল এক
যার মধ্য দিয়ে মৃতেরা পাচার হয়
সীমান্তের ওপার এপার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন